যুবককে গরম পানি ঢেলে দগ্ধের ঘটনায় লিতুন সুকুম গ্রেপ্তার
Published: 17th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদরের তোলারাম মোড় এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক নারী ও তার স্বামী-ছেলেকে মারধর ও নির্যাতনের ও গরম পানি ঢেলে দগ্ধের ঘটনার মামলায় প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে লিতুন সুকুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে শীতলক্ষ্যা কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী আবিদা সুলতানা ঝুনু (৪২) সদর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় জানান, তার দেবর ওয়াসিম সুকুম, রিপন সুকুমসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে লিপ্ত।
এই বিরোধের জেরে গত ৩০ আগস্ট বিকেলে অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় অভিযুক্ত নুরুন নাহার বাসা ভাড়ার টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যান্য আসামিদের ডেকে আনে।
এরপর তারা আবিদা সুলতানা, তার স্বামী খোকন সুকুম (৫৩) ও ছেলে অঙ্গন সুকুম (১৭)-এর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। হামলাকারীরা লাঠি ও ইট দিয়ে তাদের পেটাতে থাকে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত ওয়াসিম সুকুম ইট দিয়ে খোকন সুকুমের মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে, এবং কামরুল নামের এক সহযোগীও এলোপাতাড়ি আঘাত হানে। সন্তান অঙ্গনকে রক্ষা করতে গেলে আবিদা সুলতানাকেও মারধর করা হয়।
এ সময় রিপন সুকুম তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। এছাড়া লিতুন সুকুম (২২) স্থানীয় এক দোকান থেকে গরম পানি ভর্তি কেটলি এনে তা অঙ্গনের শরীর ও মায়ের হাতে ঢেলে দেয়।
এতে অঙ্গনের শরীরের প্রায় ১৩ শতাংশ অংশ দগ্ধ হয়। অভিযুক্তরা পালানোর সময় আবিদার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে খোকন সুকুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অঙ্গন সুকুমকে জাতীয় বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়। চিকিৎসক খোকনের মাথায় সাতটি সেলাই দেন এবং সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘটিত হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী আবিদা সুলতানা ঝুনু একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ঘটনাটি তদন্ত শুরু করি। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন, লিতুন সুকুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই এ হামলার সূত্রপাত।”
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মো. নূর আলম আকন্দ আহ্বায়ক ও সাংবাদিক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকনকে সদস্য সচিব করে ২৯ জন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি মনোনীত করে অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার ২৯ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া এবং মহাসচিব মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্যাডে এ কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে।
যেখানে নির্দেশনা দেয়া হয় গঠনতন্ত্রের আইন-কানুন মেনে ঢাকা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে আগামী ০৩ মাসের মধ্যে সকল উপজেলা কমিটি গঠন করে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। এই পত্র জারীর ১৫ দিনের মধ্যে পরিচিতি সভা, স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি এ কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলকে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন সালাউদ্দিন মোল্লা, আল আমিন প্রধান, মোঃ মাসুদ রানা হাছান, মোছাঃ আইমুন সুলতানা রুবা।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন মো. আরিফ, মোঃ নাদির হোসেন মিঠু, মোছাঃ তানিয়া আক্তার, মোঃ আরমান, মোঃ শামীম,মোঃ নাজমুল হক মোল্লা, মোঃ শামিম খাঁন, মোঃ স্বপন মিয়া, মোঃ নকিবুল প্রধান, মোঃ ইমন ইসলাম, ভূঁইয়া মোহাম্মদ মুরাদ, মোঃ ইকবাল প্রধান বাপ্পিমোঃ এডভোকেট তৌফিক হাসান আপেল, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ ফিরোজ আলম, মোঃ এডভোকেট লিটন, মিঠু বসু, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ শুভ, মোছাঃ মাসুমা আক্তার, মোঃ মিলন মিয়া, তাছলিমা আক্তার, মোঃ মাসুম মোল্লা।