Prothomalo:
2025-12-03@17:49:52 GMT

তওবা শুধু মুখের নয়, হৃদয়েরও

Published: 19th, October 2025 GMT

অনেকে খুব সহজে বলে ফেলেন, আল্লাহ তো অনেক দয়ালু।  আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন, এত চিন্তা কিসের? তারা হাসিমুখে নিশ্চিন্তে গুনাহ করে যান। আবার কিছু মানুষ এও বলে, মানুষ কত কী গুনাহ করে, আমার এসব তো ছোটখাটো গুনাহ। ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলে একসময় মাফ চেয়ে নেব, ব্যস। কেউ ভাবেন, সওয়াবের কাজ করব আবার গুনাহ্ করব একটু। বা গুনাহ করে সওয়াবের কাজ করে ফেলব। কাটাকাটি হয়ে যাবে।

কেউ কেউ উদাহরণ দেন, একজন পতিতা পানি পান করানোর মতো ক্ষুদ্র কাজ করেও জান্নাতে গেছে। অথবা একজন একশোটি খুন করেও ক্ষমা পেয়ে গেছে।

কথা হল, সবার ভাগ্যেই কি এটা ঘটবে? কার ভাগ্যে ক্ষমা জুটবে, কে সৌভাগ্যবান হবে এটা কে বলতে পারে? যারা ক্ষমা পেয়েছেন, হতে পারে তারা না জেনে পাপ করেছিলেন। জানার পরপর ক্ষমা চেয়েছেন এবং এমনভাবে তওবা করেছেন যে দ্বিতীয়বার আর সে পাপ করেননি।

আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল।সুরা ত্বহা, আয়াত: ৮২

জেনেশুনে পাপ করা আর না জেনে পাপ করা কি সমান? তাওবা কবুলের অন্যতম শর্ত হল, এমনভাবে অনুশোচনা করা যে আর কখনো সে পাপ করবে না।

বান্দার মনের গোপন, প্রকাশ্য সব খবর আল্লাহ জানেন । বান্দা কি জেনে বুঝে ইচ্ছে করে গুনাহ করছে, নাকি না জেনে বা ভুলবশত গুনাহ করছে, তা তাঁর অজানা নেই। তাঁকে  ফাঁকি দেওয়ার কোন উপায় নেই। তিনি লাতিফুল খবির বা অতি সূক্ষ্মদর্শী।

আরও পড়ুনঐক্যই মুসলিম উম্মাহর সৌন্দর্য০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.

) প্রতিদিন সত্তরবারের বেশি ইস্তিগফার করতেন। অথচ তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ গুনাহমুক্ত। তাহলে তাঁর উম্মত হয়ে আমরা কিভাবে এত নিশ্চিন্তে গুনাহ করতে পারি? কিভাবে ভাবি, ক্ষমা তো মিলবেই। এত নিশ্চিন্তে, নির্ভাবনায় কীভাবে আশা করতে পারি?

হ্যাঁ, আল্লাহ্ অতি দয়ালু, ক্ষমাশীল। আবার অবাধ্যদের শাস্তিদানের বেলায় কিন্তু তিনি অনেক কঠোরও। আল্লাহর ক্ষমার আশা করতে হবে, কিন্তু ভয়ও করতে হবে। বলা হয়েছে, বান্দার গুনাহ আকাশ পরিমাণ হলেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন।

তবে তার জন্য কোনো গুনাহ করার পর হৃদয়ে অপরাধবোধ জাগ্রত হতে হবে। নিজেকে গুনাহের কারণে অপরাধী মনে করে সেই গুনাহ আর না করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফিরে যেতে হবে, তওবা করতে হবে।

তওবা করলেই সেটা কবুল হয়ে যায় না বা মুখে ক্ষমা প্রার্থনা দ্বারাই আল্লাহ ক্ষমা করে দেন না। তওবা কবুল হওয়া বা শুদ্ধ হওয়ার জন্য একাধিক শর্ত রয়েছে।

আর হৃদয়কে সবধরনের গুনাহ, অন্যায় থেকে বিরত রাখার মাধ্যমেই একজন বান্দা সফলকাম হতে পারে। সুরা ত্বহায় আল্লাহ বলেছেন, “আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল।” (সুরা ত্বহা, আয়াত: ৮২)

তবে তওবা কিন্তু মোটেও সহজ নয় যে মুখে বললাম তওবা করেছি, ব্যস হয়ে গেল। কারণ তওবা করলেই সেটা কবুল হয়ে যায় না বা মুখে ক্ষমা প্রার্থনা দ্বারাই আল্লাহ ক্ষমা করে দেন না। তওবা কবুল হওয়া বা শুদ্ধ হওয়ার জন্য একাধিক শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো পূরণ করা তওবা কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত।  শর্তগুলো হচ্ছে:

কৃত গুনাহের জন্য আন্তরিকভাবে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া।

এ ধরনের গুনাহ্ দ্বিতীয়বার না করার উপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।

 আল্লাহর নিকট বিশুদ্ধচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন করা।

যদি অন্য কারো উপর জুলুম বা অন্যায় করা হয়ে থাকে তবে ঐ ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

আরও পড়ুনইস্তিগফার জীবিকা লাভের মাধ্যম৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গুনাহ করতে করতে অনেকের এমন অবস্থা হয়, গুনাহকে ঘৃণা করা বা খারাপ মনে করার অনুভূতি হারিয়ে ফেলে। ফলে গুনাহের কাজে সে অভ্যস্ত হয়ে যায়; তার কাছে যেকোনো গুনাহ তুচ্ছ মনে হয়। অথচ একটি ছোট ছিদ্র যেমন বিশাল জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে, তেমনি একটি ছোট গুনাহও মানুষের ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

এরপর সেই মানুষ আর কোনো কিছুতেই অস্বস্তি বোধ করে না। মানুষজন যদি তাকে গুনাহ করতে দেখে ফেলে বা সমালোচনা করে, তাতেও সে লজ্জাবোধ করে না। বরং গুনাহকে স্বাভাবিক মনে করে, আর অন্যায় ও অবাধ্যতাকে গুরুত্বহীন ভাবতে শুরু করে।

যখন একজন মানুষ গুনাহ করতে করতে গুনাহকে তার কাছে সহজ মনে হয়, গুনাহকে ছোট মনে করে, এবং তার মধ্যে আর কোনো লজ্জা বা অপরাধবোধ কাজ করে না; তখনই তা-ই তার ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তবু মানুষ দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত। গুনাহ করে, করতেই থাকে। বিশুদ্ধ তওবা করতে দেরি করে। কিন্তু দয়াময় আল্লাহ তবু বান্দার জন্য দরজা খোলা রাখেন যতক্ষণ প্রাণ গলায় পৌঁছেনি

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, “মুমিন নিজ গুনাহকে এমনভাবে দেখে, যেন একটি পাহাড়ের পাদদেশে বসে আছে আশঙ্কা করছে যে সেটি তার ওপর পতিত হবে আর পাপী নিজ গুনাহসমূহকে মাছির মত মনে করে যা তার নাকের ওপর পড়েছে একটু পর উড়ে গিয়েছে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৪৯)

তবুও দয়াময় আল্লাহর করুণা অপরিসীম। তিনি বান্দাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন এবং চান, মানুষ গুনাহের পরও গুনাহ মুক্তভাবে বিচারদিবসে উপস্থিত হোক। তাই কেউ গুনাহ করলে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে গুনাহ হয়ে গেলেও তার প্রতিকার হিসেবে বিশুদ্ধ চিত্তে ক্ষমা চাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন।

রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পাপ থেকে তওবা করে, সে এমন অবস্থায় পৌঁছে যায় যেন সে কখনো পাপই করেনি।” তিনি আরো বলেছেন, “আদম সন্তানের প্রত্যেকেই ভুলকারী। আর তাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা তাওবাকারী।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৪৯৯) 

তবে যারা নিশ্চিন্তে ক্ষমা পাওয়ার আশা নিয়ে গুনাহ করে যেতে থাকে তারা কিভাবে নিশ্চিত থাকে যে তারা ক্ষমা পাবে, বা ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার মতো হায়াত পাবে? যেখানে মৃত্যুর ক্ষেত্রে এক সেকেন্ডেরও ভরসা নেই! কেউ কথা বলতে বলতে, কেউ খেলতে খেলতে, কেউ হাসতে হাসতে মারা যায়। আবার কেউ ঘুমের মাঝেই অদৃশ্য এক যাত্রায় পাড়ি জমায়, ফিরে আসে না। তারা কি জানত, এটাই তাদের শেষ নিঃশ্বাস ছিল? তারা কি ভাবতে পেরেছিল, তাওবা করার আর কোনো সুযোগ তারা পাবে না? মৃত্যু কাউকে সময় দেয় না।

তবু মানুষ দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত। গুনাহ করে, করতেই থাকে। বিশুদ্ধ তওবা করতে দেরি করে। কিন্তু দয়াময় আল্লাহ তবু বান্দার জন্য দরজা খোলা রাখেন যতক্ষণ প্রাণ গলায় পৌঁছেনি, ততক্ষণ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং, বলুন, হে আল্লাহ, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন এবং আমাদের তওবা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি তাওবা গ্রহণকারী ও পরম দয়ালু।” (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস: ৩৮১৪)

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ন হ করত য় আল ল হ গ ন হ কর গ ন হক প প কর আম দ র ক জ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মাধ্যমিকে কর্মবিরতি, বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি

চার দফা দাবিতে দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা গতকাল সোমবার লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকালের বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে ফিরে যায়।

তবে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে কর্মচারীদের পাহারায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতি পালন করছে। গতকাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

বার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সরকারি কর্মচারী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাঁদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় বাসসকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আন্দোলনের নামে যা করছেন, তা সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে। এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।’

মাধ্যমিকে কর্মবিরতি

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৪ অনুযায়ী, সারা দেশে ১৯ হাজার ১১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সাধারণ বা জেনারেল) রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩১টি সরকারি। মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৭৯ লাখ। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ৪ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি। সরকারি মাধ্যমিকে মোট শিক্ষক ১৩ হাজারের বেশি।

চার দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন। সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে। দাবিগুলো হলো—এক. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশ। দুই. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা। তিন. সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া। এবং চার. ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২ থেকে ৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবির বিষয়ে তাঁরা প্রথমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু দাবি না মানায় লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।

কর্মবিরতির কারণে বিভিন্ন বিদ্যালয় আগের দিন রোববার নোটিশ দিয়ে গতকালের পরীক্ষা স্থগিত করে। আবার শিক্ষার্থীরা গতকাল কোনো কোনো বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারে, পরীক্ষা হবে না। রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে পড়ুয়া এক ছাত্রের বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সন্তান বিদ্যালয়ে গিয়েও ফিরে এসেছে। বিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জানান, তাঁরা মৌখিকভাবে পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল আগের দিন রোববার নোটিশ দিয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার কথা জানিয়েছে। গতকাল সকালে খুলনার সরকারি করোনেশন গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষক জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না।

গতকাল সকালে খুলনা জিলা স্কুলের সামনে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সরফুদ্দিন আয়ান বলে, ‘আজ গণিত পরীক্ষা ছিল, তবে হবে না—এটা জানতাম না। এসে দেখি, পরীক্ষা হচ্ছে না।’ তার মতো খুলনার কয়েকটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা একই সমস্যায় পড়ে। তারা বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর শিক্ষকদের কর্মবিরতির খবর পায়।

রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষা না হওয়ার খবর পাঠিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদক মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান, বেশ কিছু ছাত্র রয়েছে বিদ্যালয় চত্বরে। অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্র বলল, তাদের পরীক্ষা হয়েছে। তবে পরীক্ষার হলে গার্ড দিয়েছেন কর্মচারীরা। পরে কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, কর্মচারীদের দিয়ে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

তবে শিক্ষকেরা দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা হতে দেননি। বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, আদিষ্ট হয়ে বিধি মোতাবেক পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।

সেখান থেকে পাশের মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সেই বিদ্যালয়ে সময়সূচি অনুযায়ী গতকাল পরীক্ষা ছিল না।

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তাঁদের ডেকে দাবিগুলো পূরণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন। অন্যথায় তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে।

প্রাথমিকে একাংশের কর্মবিরতি

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে। পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপাতত ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আজ ২ ডিসেম্বর পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে।

অবশ্য গতকাল সকালে ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। লালবাগ শিক্ষা এলাকার একটি বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক সকালে পরীক্ষা শুরুর কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা আছে। আর সাধারণত ঢাকার বিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের কর্মসূচি সব সময়ই কম পালিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তান
  • অবকাঠামো বৈষম্য ও প্রবেশাধিকার সমতা 
  • ইচ্ছা না থাকলেও ১৫ বছর পর যে টুর্নামেন্টে খেলবেন কোহলি
  • সব খাবারে কি কারও অ্যালার্জি হতে পারে?
  • আসিম মুনির: পাকিস্তানের নতুন ‘সুলতান’
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া
  • মুসলিম সভ্যতায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া
  • মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ আহত ১৫
  • শিবচরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫
  • মাধ্যমিকে কর্মবিরতি, বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি