বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কার করার জন্য: ডা. জাহিদ
Published: 8th, November 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডে আয়োজিত উঠান বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে সংস্কার, পরিবর্তন ও আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মিথ্যাচার করে বিএনপির ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘এই দেশ সাক্ষ্য দিবে, এ দেশের মানুষ বলবে, দেশের ইতিহাস বলবে, বিএনপির ইতিহাস হলো সংস্কারের ইতিহাস। মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ইতিহাস।’’
আরো পড়ুন:
বিএনপির ৩১ দফা: পাঠ ও বিবেচনা
‘জামায়াতের রাজনীতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের নীতির কারণে’
ডা.
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি কথা নয়, কাজে বিশ্বাস করে। জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ, লালন ও বাস্তবে রূপায়িত করাই দলের লক্ষ্য।’’ তাই ৩১ দফা জাতীয় ঘোষণা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি সকলকে আহ্বান জানান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মামুন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লেলিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন মোফা, পৌর যুবদলের সদস্য-সচিব সজীব কবির এবং পৌর জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন ডাবলু। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মোসলেম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সদস য ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ
দেশের ইতিহাসের ঘটনাবহুল দিন আজ ৭ নভেম্বর। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন পৃথক নামে দিনটি পালন করে। বিএনপি দিনটিকে পালন করে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় সেনাবাহিনীতে পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থানের ঘটনা। এসব ঘটনার এক পর্যায়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দী হন। ৭ নভেম্বর এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ ৯ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জাসদ দিনটিকে পালন করে ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে। আর প্রগতিশীল অনেক দল ও সংগঠন ৭ নভেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে।
বিএনপির কর্মসূচি৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সকাল ছয়টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন নেতা-কর্মীরা। একই দিন বেলা তিনটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে র্যালি বের করা হবে। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই দিন র্যালির আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করবে ছাত্রদল, শনিবার তাদের আলোচনা সভাও রয়েছে; ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবে ওলামা দল; তাঁতী দল আলোচনা সভা করবে ১০ নভেম্বর, কৃষক দল করবে ১১ নভেম্বর; ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে জাসাস।