আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী শহর সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন। এখানে এলেই তাঁর মন ভালো হয়ে যায়। এখানকার মানুষকেও তিনি খুব পছন্দ করেন। তবে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে যান। বলেন, এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনি রাজশাহী আসেননি।

আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আসিফ নজরুল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘টিটিসিতে এত নিষ্ঠার সঙ্গে সবাই কাজ করছে দেখে খুবই ভালো লাগল। এমনি রাজশাহীতে এলেই মনটা ভালো লাগে, এত সুন্দর একটা শহর, এত পরিচ্ছন্ন! আর আপনাদের, মানে রাজশাহীর মানুষকে আমি খুবই পছন্দ করি।’

এ সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘সামনে নির্বাচন.

..।’ তখন সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ওইগুলো ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে আমি এখানে আসিনি। আমি এখানে আসছি টিটিসি দেখতে। এসব ব্যাপারে আমার...। আগামীকাল লিগ্যাল অফিসে যাব, কোর্টে। এই দুইটা কাজে আসছি। পরে কথা হবে।’ এরপর তিনি চলে যান।

এ সময় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারসহ টিটিসি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ২১ কেজির পোয়া, দাম উঠেছে লাখ টাকা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিস আড়তে নিয়ে আসা হয়। মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে নিলামের মাধ্যমে মাছটির দাম এক লাখ টাকা হাকেন পাইকাররা। তবে মাছটি আরো বেশি দামে বিক্রির আশায় চট্রগ্রামে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আড়তদার।

আরো পড়ুন:

খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টি, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারী বর্ষণে ৪০০ পুকুর ভেসে গেছে

সচরাচর এ ধরনের মাছ ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়ভাবে এ ধরনের মাছ দাতিনা বা ব্ল্যাক ডায়মন্ড নামেও পরিচিত। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে ‘‘ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার’ও বলা হয়।

ফয়সাল ফিস আড়তের সহকারী রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘এত বড় আকারের মাছ সচরাচর দেখা যায় না। তাই মাছটি দেখতে এসেছি। একটি মাছের দাম এক লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, কাছে এসে না দেখলে অবিশাস্য মনে হবে।’’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে, এটি আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামি।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার ঘোষিত মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সুফলে এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।’’ 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ