মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা: আয়োজক কর্মকর্তার অশোভন আচরণের যে জবাব দিলেন অংশগ্রহণকারীরা
Published: 8th, November 2025 GMT
থাইল্যান্ডে এ বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একজন পুরুষ কর্মকর্তা একজন প্রতিযোগীকে ধমকাচ্ছেন; সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর নারীবিদ্বেষ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।
যে ভিডিও নিয়ে এত আলোচনা সেখানে দেখা যায়, মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের (এমজিআই) প্রেসিডেন্ট নাওয়াৎ ইৎসারাগ্রিসিল মেক্সিকোর ২৫ বছর বয়সী প্রতিযোগী ফাতিমা বোশকে ধমকাচ্ছেন।
এ মাসের শেষ ভাগে ব্যাংককে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসতে যাচ্ছে। ১২০টির বেশি দেশের প্রতিযোগী এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
মূল প্রতিযোগিতা শুরুর আগে চলছে অনুষ্ঠান-পূর্ব নানা আয়োজন। সরাসরি সম্প্রচারিত তেমনই একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, নাওয়াৎ মেক্সিকোর প্রতিযোগী ফাতিমা বোশের বিরুদ্ধে আয়োজক দেশ থাইল্যান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথেষ্ট কনটেন্ট পোস্ট না করার অভিযোগ করছেন এবং অন্যান্য প্রতিযোগীর সামনে এ নিয়ে ফাতিমাকে ধমকাচ্ছেন।
ফাতিমাকে উদ্দেশ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট নাওয়াৎ ‘নির্বোধ’ বলেন। কারণ, তাঁর মনে হয়েছে, ফাতিমা থাইল্যান্ডকে নিয়ে অনলাইনে প্রচারমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন না।
যদিও পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নাওয়াৎ দাবি করেন, তিনি ফাতিমাকে ‘নির্বোধ’ বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, ফাতিমার কারণে ‘ক্ষতি হয়েছে’ (ড্যামেজড)।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল (এমজিআই)–এর প্রেসিডেন্ট নাওয়াৎ ইৎসারাগ্রিসিল মেক্সিকোর ২৫ বছর বয়সী প্রতিযোগী ফাতিমা বোশকে ধমকাচ্ছেন।অপমানিত ফাতিমা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করলে তাঁর মুখ বন্ধ করতে নাওয়াৎ বলে ওঠেন, ‘আমি আপনাকে কথা বলতে বলিনি।’ এরপর তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা ফাতিমাকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে বলেন। সে সময় অন্যান্য প্রতিযোগী ফাতিমার প্রতি সমর্থন জানিয়ে উঠে দাঁড়ান এবং কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অন্যদের থামাতে প্রতিযোগিতার পরিচালক হুমকির সুরে বলেছিলেন, যদি তাঁরা এখনই বসে না পড়েন তবে তাঁদের প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
এ কাণ্ড নিয়ে দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে নাওয়াৎ জনসমক্ষে প্রতিযোগীদের কাছে ক্ষমা চান।
ওই ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবাউম নিজেও এ নিয়ে কথা বলেছেন। ক্লদিয়া শেনবাউম দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
‘কীভাবে নারীদের প্রতিবাদ করা উচিত, ফাতিমা তার একটি উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট শেনবাউম।’শেনবাউম বলেন, থাইল্যান্ডে প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তার আচরণ ছিল ‘খুবই আক্রমণাত্মক’। ফাতিমা বোশ ‘সম্মানের সঙ্গে’ তা সামলেছেন।
কীভাবে নারীদের প্রতিবাদ করা উচিত ফাতিমা তার একটি উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট শেনবাউম।
ক্ষোভ এবং ক্ষমা
নাওয়াতের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার কিছুক্ষণ পর সংবাদমাধ্যমকে ফাতিমা বলেন, তাঁর সঙ্গে ওই থাই কর্মকর্তার দুর্ব্যবহারের মূল কারণ ছিল নাওয়াতের সঙ্গে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিরোধ, যার প্রেসিডেন্ট একজন মেক্সিকান।
টিকটকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ফাতিমাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মনে করি, এটা অন্যায়। কারণ, আমি এখানে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করছি। আমি কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়াইনি। আমি শুধু চেষ্টা করি ভদ্র থাকতে। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আমি মনে করি এটা অন্যায়। কারণ, আমি এখানে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করছি। আমি কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়াই না। আমি শুধু চেষ্টা করি ভদ্র থাকতে। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছিফাতিমা বোশ, মেক্সিকোর প্রতিযোগীসেখানে এই মেক্সিকান তরুণী আরও বলেন, ‘তিনি আমাকে মুখ বন্ধ রাখতে এবং আরও অনেক কিছু বলেছেন। আমি মনে করি, সারা বিশ্বের মানুষের এটা দেখা দরকার। কারণ, আমরা আত্মবিশ্বাসী নারী এবং এটি আমাদের আওয়াজ তোলার মঞ্চ। কেউ আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না।’
মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট রাউল রোচাও থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী নাওয়াতের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং অনুষ্ঠানের পরবর্তী যেকোনো কার্যক্রমে তাঁর অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছেন।
গত বুধবার সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এসে নাওয়াৎ নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চান এবং জোর দিয়ে বলেন, কাউকে আঘাত করার ইচ্ছা তাঁর ছিল না। এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি সম্মান করেন।
সে সময় মঞ্চে তাঁর পাশে বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ফাতিমাকেও দেখা গেছে।
নাওয়াৎ প্রতিযোগীদের বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমি সত্যিই খুব দুঃখিত।’
আরও পড়ুনমেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা, একজন গ্রেপ্তার০৫ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ইউন ভ র স ধমক চ ছ ন কর মকর ত অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আলব্যের কামুর দর্শন, চরিত্র ও পাঠক
আগামীর আশা নিয়েই আমাদের জীবনের বেশির ভাগ গড়া। যদিও কালকের দিনটি আমাদেরকে আমাদের সবার চরম শত্রু মৃত্যুর কাছে নিয়ে যাবে। লোকেরা এমন করে বাঁচে, যেন নিশ্চিত মরণ সম্পর্কে তাদের আদৌ কিছু জানা নেই। এর গতানুগতিক এই কল্পনাবিলাসিতা একবার খসে পড়লে, বিশ্বকে ভিনদেশি, অদ্ভুত আর অমানবিক একটি জায়গা বলে মনে হবে। সত্যিকার জ্ঞান অসম্ভব এবং যৌক্তিকতা আর বিজ্ঞান বিশ্বকে প্রকাশ করতে পারে না; এমন সব ব্যাখ্যা চূড়ান্তভাবে শূন্যগর্ভ বিমূর্ততা এবং রূপকের মাঝে গিয়ে শেষ হয়—অতিমূল্যবান এ কথাগুলোর মাধ্যমে আলব্যের কামু তাঁর দার্শনিক প্রবন্ধগ্রন্থ ‘লা মিথ দ্য সিসিফ’ (দ্য মিথ অব সিসিফাস)-এর বর্ণনা শুরু করেন। এরপর তিনি জানান, যে মুহূর্ত থেকে এই নিরর্থকতা শনাক্ত হয়, তখন থেকে তা তীব্র একটি উৎসাহে পরিণত হয়। আর সবকিছুর মধ্যে এটিই সবচেয়ে মর্মন্তুদ।’
রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও দার্শনিক আলব্যের কামুর জন্ম আজ থেকে ১১২ বছর আগে ফরাসি আলজেরিয়ায়। কামুর শৈশবে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বধির ও অশিক্ষিত মায়ের প্রতি তিনি গভীর অনুরক্ত ছিলেন। এসবের দ্বারা কামুর নিরভিমান শিশুবেলার দিনগুলো বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। মনে করা হয়, এসব কারণে তাঁর ভেতর অন্য রকম এক বিনয় কাজ করত। অবশ্য পরে তাঁর অপ্রতিরোধ্য সাহিত্যিক খ্যাতির কাছে তা ম্লান হয়ে যায়। ১৯৫৭ সালে নোবেল বক্তৃতায় কামু তাঁর সেই বিনয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। মর্যাদাসম্পন্ন এই পুরস্কারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এ সময় তিনি বলেন, ‘বাস্তবে আমি যা, সেই প্রতিধ্বনির সঙ্গে তুলনা না করে আমি আপনাদের সিদ্ধান্ত বুঝে উঠতে সক্ষম হইনি। যে লোকটি কেবল তার সন্দেহবাতিকতার দিক দিয়েই ধনী। পুরোদস্তুর একজন তরুণ এবং যার সৃষ্টিশীলতা এখনো বিকাশমান। যে তার কাজের নিরিবিলিত্যের যাপনে বা বন্ধুত্বের মধ্যে ফিরে যেতে অভ্যস্ত; কী করে সে এমন একটি ঘোষণা শুনে ভীত না হয়ে পারে, যা তাকে হঠাৎ, দীপ্যমান এক আলোক কেন্দ্রের মধ্য থেকে, সম্পূর্ণ একা এবং নিজের মাঝে চুপসে দেবে? এবং ঠিক কোন অনুভূতিসহকারে সে এমন একটি সম্মাননা গ্রহণ করতে পারে, যেখানে ইউরোপের অন্য লেখকেরা, নিজেরা খুব বিখ্যাত হওয়ার পরও, নীরবতার দোষে দুষ্ট। এমনকি এমনই একটি সময়ে যখন তার আপন জন্মভূমি অশেষ দুঃখ-দুর্গতির মাঝ দিয়ে দিনাতিপাত করছে?’
সত্যিকার জ্ঞান অসম্ভব এবং যৌক্তিকতা আর বিজ্ঞান বিশ্বকে প্রকাশ করতে পারে না; এমন সব ব্যাখ্যা চূড়ান্তভাবে শূন্যগর্ভ বিমূর্ততা এবং রূপকের মাঝে গিয়ে শেষ হয়। যে মুহূর্ত থেকে এই নিরর্থকতা শনাক্ত হয়, তখন থেকে তা তীব্র একটি উৎসাহে পরিণত হয়। আর সবকিছুর মধ্যে এটিই সবচেয়ে মর্মন্তুদ।আলব্যের কামুকামুর এই উদ্বেগের মধ্যে আরও একটি নিশ্চায়ক বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়, একটি রাজনৈতিক কার্যকলাপ হিসেবে তাঁর লিখে যাওয়ার উপলব্ধি। বামদের একজন সাংবাদিক হিসেবে এবং উপনিবেশবিরোধী সংবাদপত্রগুলোর মাধ্যমে যা তিনি শান দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে ফরাসিবিরোধী কাগজ কম্বেট–এ ১৯৪৩ থেকে ’৪৭ পর্যন্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার সময়। যুদ্ধ চলাকালীন এই বছরগুলোতে কামু তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কিছু রচনা লিখে শেষ করেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’ এবং উপন্যাস ‘দ্য স্ট্রেঞ্জার’। এ সময় জ্যঁ পল সার্ত্রের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সময় সার্ত্রেও কম্বেটের হয়ে লিখতেন। ঘটনাক্রমে তাঁদের এই বন্ধুত্ব তিক্ততায় মোড় নেয়। এর কারণ অংশত কমিউনিস্ট জান্তার ইঙ্গিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং যন্ত্রণাভোগ মেনে নিতে কামুর অনিচ্ছা। এর বেশ আগেই, ১৯৩৭–এ, কমিউনিজমের গোঁড়ামি মেনে নিতে অসম্মতি জানানোয় কামুকে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
লেখক ও দার্শনিক আলব্যের কামুর জন্ম আজ থেকে ১১২ বছর আগে ফরাসি আলজেরিয়ায়। কামুর শৈশবে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বধির ও অশিক্ষিত মায়ের প্রতি তিনি গভীর অনুরক্ত ছিলেন। এসবের দ্বারা কামুর নিরভিমান শিশুবেলার দিনগুলো বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।কামু পার্টিকে জনতার ওপরে ঠাঁই দিতে পারেননি। শিল্পকে তিনি রাজনৈতিকতার ওপরে বিশেষ একটি স্তরে উন্নীত করতে পারেননি। নোবেল বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমি আমার শিল্প ছাড়া প্রাণবন্তভাবে বেঁচে থাকতে পারি না। কিন্তু আমি কখনোই একে আমার সবকিছুর ওপরে স্থান দিই না। অপর দিকে যদি আমার শিল্পের প্রয়োজনই হয়ে থাকে, তবে তার একটিই মাত্র কারণ থাকবে। তা হলো, শিল্পকে আমার লোকেদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়নি...এটি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য নয়।’ এই শিল্পই তাঁকে সবচেয়ে বিনম্র এবং চিরন্তন সত্যপ্রবণ করে তোলে।
শিল্পীর সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি কঠোর বিশ্বাস রেখে, কামু তাঁর লেখনীকে ‘বাতুল এক ইতিহাসের’ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণের ‘অঙ্গীকার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই বক্তৃতায় তিনি ‘লেখকের শিল্প-কৈাশলের আভিজাত্য’ হিসেবে নিজের লেখালেখির বিশেষ এই দায়বদ্ধতার রূপরেখা তুলে ধরেন। এরপর কামু তাঁর বিনয়ী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ফিরে আসেন এবং লেখককে ‘তাঁর সশস্ত্র কমরেডদের’ পাশাপাশি রেখে নিজেকে তিনি তাঁর ‘সঠিক জায়গাতে’ স্থাপন করেন। কেননা তিনি এমন একজন লেখক, যিনি নিজেকে তাঁর ‘সীমাবদ্ধতা এবং সন্দেহে’র মাঝে রেখেই নির্ণয় করেন। আর এ প্রক্রিয়াতেই সৃষ্টি হয়েছে কামুর অনন্য সব সিদ্ধান্ত ও সমৃদ্ধ কর্ম। যেমন এই দলীয় রাজনীতির বাইরে এসে দাঁড়ানো। এসব লেখা তিনি এমন একটি সময় রচনা করেছেন, যখন তিনি সক্রিয়ভাবে সবচেয়ে প্রগতিবাদী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর নিজস্ব মানবিক অস্তিত্বের অসমঞ্জস্যের কারণে বা সত্ত্বেও জনতার একের অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি এসব লিখেছেন।
নোবেল বক্তৃতা-রত আলব্যের কামু। স্টকহোম, সুইডেন, ১০ ডিসেম্বর ১৯৫৭