বিদেশে বসে চট্টগ্রামের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ। চাঁদাবাজি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে তাঁর ডানহাত হিসেবে কাজ করতেন ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলা ও আকবর আলী ওরফে ঢাইকাইয়া আকবর। ১০ বছর আগে সাজ্জাদের দল থেকে বেরিয়ে নিজেরাই পৃথক দল গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা। প্রায় ছয় মাসের ব্যবধানে দুজনই খুন হলেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠায় নিজের এক সময়কার দুই শিষ্যকে সরিয়ে দিয়েছেন সাজ্জাদ আলী।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের পাঁচলাইশ চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগের সময় ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলার ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে ২৩ মে আরেক শিষ্য আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকেও গুলিতে খুন হন।

পুলিশ জানায়, চাঁদা না পেলেই গুলি ছোড়েন সাজ্জাদের অনুসারীরা। নগরের চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী ও পাঁচলাইশ এবং জেলার হাটহাজারী, রাউজানসহ পাঁচ থানার পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে সাজ্জাদের বাহিনীর কারণে আতঙ্কে থাকতে হয়।  ৫ আগস্টের পর থেকে নগর এ জেলায় জোড়া খুনসহ ১০টি খুনে সাজ্জাদের অনুসারীদের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা কখনো আধিপত্য বজায় রাখতে নিজেদের প্রতিপক্ষকে খুন করছেন, আবার কখনো ভাড়াটে খুনি হিসেবেও ব্যবহার হয়েছেন। তবে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

যেভাবে উত্থান বড় সাজ্জাদের

নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার আবদুল গণি কন্ট্রাক্টরের ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ড তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ থাকলেও কেউ আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় ওই হত্যা মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়ে যান। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

২০০০ সালের ১২ জুলাই। মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ওই ছয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান।

বড় সাজ্জাদের সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বড় স জ জ দ সন ত র স

এছাড়াও পড়ুন:

আকবররা যাচ্ছেন কাতার

আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্ট। যেখানে খেলবে বাংলাদেশও। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে অংশগ্রহণের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আকবর আলীর নেতৃত্বে খেলতে যাবে বাংলাদেশ 'এ' দল।

দলে সুযোগ পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আলো ছড়ানো জিসান আলম, আরিফুল ইসলাম, জাওয়াদ আবরার, মেহেরব হাসান অহিনদের ক্রিকেটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আবু হায়দার রনি, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে নেওয়া হয়েছে দলে। 

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। 'বি' গ্রুপের চার দল ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। দুই গ্রুপের সেরা দুই দলকে নিয়ে ২১ নভেম্বর হবে সেমি-ফাইনালের দুই ম্যাচ। আর ২৩ তারিখ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এই টুর্নামেন্টের।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে চলতে থাকা ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের নামই এবার বদলে করা হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ।

বাংলাদেশ স্কোয়াড:
জিসান আলম, হাবিবুর রহমান সোহান, জাওয়াদ আবরার, আরিফুল ইসলাম, আকবর আলী (অধিনায়ক), ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, মেহেরব হাসান অহিন, আবু হায়দার রনি, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ স্বাধীন ইসলাম, রিপন মণ্ডল, আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি:
বাংলাদেশ বনাম হংকং: ১৫ নভেম্বর
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ১৭ নভেম্বর
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: ১৯ নভেম্বর

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবির পরিচালক আসিফ আকবরের বান্দরবান স্টেডিয়াম পরিদর্শন
  • সন্তানের সামনেই অভিনেত্রীকে হেনস্তা
  • ভারতে দুই দশকে ১ শতাংশ শীর্ষ ধনীর সম্পদ বেড়েছে ৬২%
  • রাইজিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে আছেন কারা
  • আকবররা যাচ্ছেন কাতার
  • ভারতের ১ শতাংশ ধনকুবেরের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বেড়েছে