১৩ তারিখ ঢাকা যাওয়ার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আটক
Published: 11th, November 2025 GMT
‘১৩ তারিখ ঢাকা যাওয়ার জন্য সকলে প্রস্তুত থাকুন’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেনকে (৬৭) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার মসজিদবাড়ি সড়কে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৩ নভেম্বর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া একটি পোস্টে ফারুক হোসেন নিজেকে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি’ পরিচয় দিয়ে লেখেন, ‘ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত সব থানা, পৌরসভা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো আগামী ১৩ তারিখ ঢাকা যাওয়ার জন্য সকলে প্রস্তুত থাকুন। ১০-১১-১২ তারিখ স্ব স্ব এলাকায় অবস্থান করে মিছিল করুন। বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন—অবৈধ ট্রাইব্যুনাল মানি না মানবো না, শেখ হাসিনার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে। অবৈধ, অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হোক, পতন হোক।’ এরপর গতকাল সোমবার তাঁকে আটক করে পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন‘১৩ তারিখে আমরা সবাই ঢাকা যাব’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট করা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার০৮ নভেম্বর ২০২৫প্রসঙ্গত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় কবে হবে, তা জানা যাবে ১৩ নভেম্বর। গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৩ ত র খ ফ সব ক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন আছে, বললেন আবদুর রব ইউসুফী
বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে আগামী নির্বাচন করতে চাইছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ। তবে তারা যত আসন চাইছেন, বিএনপি তা ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। সমঝোতা না হলে এককভাবেই নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও নির্বাচন উপকমিটির আহবায়ক মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, ‘জমিয়ত সভাপতি বলেছেন, “জোট হলেও আছি, না হলেও আছি।” তাই জমিয়ত এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা নির্বাচনী সমঝোতার জন্য যে তালিকা প্রস্তুত করেছি, লড়াই করে জিতে আসার জন্যই করেছি। যদি সেই কাঙ্ক্ষিত আসনগুলোতে কারও সঙ্গে সমঝোতা না হয়, তাহলে এককভাবেই লড়ব ইনশা আল্লাহ।’
বিএনপির একসময়ের জোটসঙ্গী কয়েকটি দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে গেলেও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যায়নি। তারা বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছে। বিএনপির কাছে কিছু আসন চেয়ে একটি প্রার্থী তালিকা দিয়েছে জমিয়ত। সেই তালিকায় রয়েছেন দলের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক (সিলেট-৫), মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (নীলফামারী-১), কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী (সিলেট-৪), জুনায়েদ আল হাবিব (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), মনির হোসেন কাসেমী (নারায়ণগঞ্জ-৪), মোখলেছুর রহমান চৌধুরী (কিশোরগঞ্জ-১), শোয়ায়েব আহমদ (সুনামগঞ্জ-২) ও তালহা ইসলাম (নড়াইল-২)।
জমিয়তের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১২টি আসন ছাড়া তাঁরা জোটে যাবেন না।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য বিএনপি এরই মধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জমিয়তের প্রত্যাশিত আসনগুলোর বেশ কয়েকটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা না হলেও সেগুলো কোন কোন দলের জন্য রাখা হয়েছে, তা বলা হয়নি।
তার মধ্যে এককভাবে নির্বাচনের পথে এগোনোর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর মুঠোফোনে কল করা হয়।
নির্বাচনী আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুটা টানাপোড়েন তো আছেই। সে কারণে এমন বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আসন সমঝোতা না হলে জমিয়ত আলাদাভাবে নির্বাচন করবে।’
বিবৃতিতে আবদুর রব ইউসুফী বলেন, জমিয়ত বর্তমানে কারও সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জোটে নেই। তবে দেশ-জাতির কল্যাণে প্রদত্ত দলের কোনো বক্তব্য কারও বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। কেউ কেউ এটাকে নানাভাবে ট্রল (হাস্যরস) করছে।
নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা নেই বলে একটা কথা শোনা যায়। রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা বন্ধুও নেই। তবে নীতি-আদর্শের ক্ষেত্রে কোনো আপস করা সম্ভব নয়। জমিয়ত সেই নীতিই লালন করে। তবে জমিয়ত চায়, দ্বীনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত বা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই এবং দেশ-জাতির ক্ষেত্রে আস্থা রাখা যায়, এমন শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসুক।