‘ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ ও শ্রমিক নিরাপত্তা জোরদার হবে’
Published: 13th, November 2025 GMT
ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি ও শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, শোভন কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভাটি ছিল জেনেভায় আয়োজিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৫তম গভর্নিং বডি সভায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সভা। এতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি ও আইএলও ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএলও এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন-পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (১৫৫ ও ১৮৭) এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ (১৯০)-অনুস্বাক্ষর করেছে।
গত ২০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড.
ড. সাখাওয়াত বলেন, “কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন আইএলওর ১০টি মৌলিক কনভেনশনের সবকটি অনুমোদনকারী দেশে পরিণত হলো। আর কনভেনশন ১৯০ নারী শ্রমিকসহ সবার জন্য নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তুলবে।”
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলার পুনরাবৃত্তি রোধ, বর্ধিত শাস্তি প্রবর্তন, শ্রম আইন প্রয়োগে শ্রম পরিদর্শন জোরদার এবং সাতটি নতুন শ্রম আদালত স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শ্রম আদালতের পাশাপাশি একটি অনলাইন মামলা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। শ্রম খাতকে ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে একটি সমন্বিত শ্রমিক ডেটাবেজ তৈরির কাজও চলছে।
উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন ২০০৬-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ শিগগিরই গেজেটে প্রকাশিত হবে, যা শ্রমিকদের শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে।
নৌপরিবহন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, “২০২৬-২৭ মেয়াদে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’ সদস্যপদে বাংলাদেশের প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা উপস্থিত দেশগুলোর সমর্থন কামনা করছি।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া, নৌপরিবহন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী (এনডিসি), বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং আইএলও ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনন।
দূতাবাস প্রতিনিধিরা আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষর ও শ্রম আইন সংশোধন অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনভ নশন উপদ ষ ট উপস থ ত অন ম দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ ও শ্রমিক নিরাপত্তা জোরদার হবে’
ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি ও শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, শোভন কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভাটি ছিল জেনেভায় আয়োজিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৫তম গভর্নিং বডি সভায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সভা। এতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি ও আইএলও ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএলও এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন-পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (১৫৫ ও ১৮৭) এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ (১৯০)-অনুস্বাক্ষর করেছে।
গত ২০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুমোদনের দলিলগুলো স্বাক্ষরিত হয়। শিগগিরই সেগুলো আইএলও মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
ড. সাখাওয়াত বলেন, “কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন আইএলওর ১০টি মৌলিক কনভেনশনের সবকটি অনুমোদনকারী দেশে পরিণত হলো। আর কনভেনশন ১৯০ নারী শ্রমিকসহ সবার জন্য নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তুলবে।”
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলার পুনরাবৃত্তি রোধ, বর্ধিত শাস্তি প্রবর্তন, শ্রম আইন প্রয়োগে শ্রম পরিদর্শন জোরদার এবং সাতটি নতুন শ্রম আদালত স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শ্রম আদালতের পাশাপাশি একটি অনলাইন মামলা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। শ্রম খাতকে ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে একটি সমন্বিত শ্রমিক ডেটাবেজ তৈরির কাজও চলছে।
উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন ২০০৬-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ শিগগিরই গেজেটে প্রকাশিত হবে, যা শ্রমিকদের শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে।
নৌপরিবহন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, “২০২৬-২৭ মেয়াদে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’ সদস্যপদে বাংলাদেশের প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা উপস্থিত দেশগুলোর সমর্থন কামনা করছি।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া, নৌপরিবহন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী (এনডিসি), বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং আইএলও ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনন।
দূতাবাস প্রতিনিধিরা আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষর ও শ্রম আইন সংশোধন অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান।
ঢাকা/এএএম/এসবি