Prothomalo:
2025-08-02@07:14:35 GMT

বিপন্ন প্রাণীর বন্ধু তিনি

Published: 13th, January 2025 GMT

পাশাপাশি বসে খাচ্ছে তিনটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা। একবার চোখ মেলে তাকায়, আবার ঘুম ঘুম ভাব। মুখে তুলে না দিলে যেন খাবে না! ঠিক আদরের সন্তানের মতো প্যাঁচাগুলোর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছিলেন সালাহ উদ্দিন। বিপন্ন অবস্থায় প্যাঁচাগুলোকে উদ্ধার করেছেন তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই তাদের মুক্ত করে দেবেন।

এর আগেও ১২টি বিপন্ন প্যাঁচা উদ্ধার করে সালাহ উদ্দিন প্রকৃতিতে ছেড়ে দিয়েছেন। শুধু প্যাঁচা নয়, প্রায় ৫০টি বিপন্ন পাখি, ২০০টি কুকুর, ২৫০টি বিড়াল, ১৫০টি সাপ উদ্ধারের পরে শুশ্রূষা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

সালাহ উদ্দিনের ডাকনাম নীল। বয়স ৩৭। চাকরি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষণাগারে। বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার সমসাদীপুর এলাকায়। ভয়াবহ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। এর আগে চাকরি করেছেন ঢাকায় আইসিডিডিআরবি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে। ২০১৭ সালে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এ কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় মধুর যন্ত্রণায় পড়তে হয়েছে সালাহ উদ্দিনকে। যেদিন বিয়ে করতে যাবেন, সেদিন তাঁর বাড়িতে ছিল ২৪টি বিড়াল ও ২০০টি সুইচ অ্যালবিনো জাতের ইঁদুর। স্ত্রী এসব দেখে মন খারাপ করতে পারে, তাই বিড়ালগুলো মানুষকে দিয়ে দেন। ইঁদুরগুলো লুকিয়ে রাখেন একজনের বাড়িতে।

কুড়িয়ে পাওয়া এই জাতের ইঁদুর পুষতে গিয়ে সালাহ উদ্দিনের বাড়িতে শেষ পর্যন্ত ইঁদুরের ছোট্ট একটা খামার দাঁড়িয়ে যায়। এ থেকে কিছু আয়ও হয়। স্ত্রী এসে সব শুনে বললেন, ‘খারাপ কী? ইঁদুরগুলো বাড়িতে নিয়ে আসা হোক।’ এরপর ইঁদুরগুলো আবার বাড়িতে এল। ইঁদুরের সুবাদে বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সুস্থ করে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার কাজও চলতে থাকল তাঁর। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ নিলেন সাপ উদ্ধারের জন্যও।

সালাহ উদ্দিন সবচেয়ে বিপত্তির মুখে পড়েন প্যাঁচা নিয়ে। প্রথম উদ্ধার করেছিলেন হুতুম প্যাঁচা। এই প্যাঁচা বাড়িতে আনার পরে তাঁর বাবা ভীষণ চটে যান। মানুষ মনে করে, প্যাঁচা অলক্ষুনে বা অপয়া। এই প্যাঁচার কারণে বাড়ির কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে। সালাহ উদ্দিন বোঝাতে সক্ষম হন, এটা ভুল ধারণা। বরং প্যাঁচা উপকারী প্রাণী। শুধু ইঁদুর খেয়েই একটা প্যাঁচা তার জীবনে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ফসল রক্ষা করে।

একবার এক ঘটনা ঘটল। একটি প্যাঁচাকে সুস্থ করে প্রকৃতিতে ছেড়ে দিলেও সে যায় না। তিনবার ফিরে আসে প্যাঁচাটি। সালাহ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে, প্যাঁচাও তাঁর সঙ্গে গিয়ে গবেষণাগারে বসে থাকে। ফেরার সময় আবার তাঁর সঙ্গে বাড়ি ফেরে। সব শুনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক সালেহ রেজা প্যাঁচাটি প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি পরামর্শ দেন। এ জন্য প্যাঁচাটিকে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। খাবার বন্ধ করে দিলে প্যাঁচাটি চলে যায়।

সালাহ উদ্দিনের বাড়ির বুকশেলফের ফাঁকা জায়গায় বসবাস করে লক্ষ্মীপ্যাঁচা তিনটি।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তথ্য

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৫-২৬ অনুযায়ী একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় মোট ১ হাজার ৯০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা—

বাংলা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য:

১. বিজ্ঞান বিভাগ:

সাধারণ শিক্ষার্থীর জিপিএ ৫.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৭২, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৫০।

আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ৪৪০টি, ছাত্র-দিবা- ৪৪০টি।

২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ:

সাধারণ শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.৩৩, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০।

আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ১৫০টি, ছাত্র-দিবা- ১৫০টি।

৩. মানবিক বিভাগ:

সাধারণ শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.৭৮, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০।

আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ৯০টি, ছাত্র-দিবা- ৯০টি।

আরও পড়ুননটর ডেম কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, ও লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন নয়, আসন ৩২৯০টি২৬ জুলাই ২০২৫ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য:

১. বিজ্ঞান বিভাগ:

সাধারণ শিক্ষার্থীর জিপিএ ৫.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৭২, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৫০।

আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ২০০টি, ছাত্র-দিবা- ২০০টি।

২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ:

সাধারণ শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.০০, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.৩৩, বিজিবির শিক্ষার্থী জিপিএ ৩.০০।

আসনসংখ্যা রয়েছে: ছাত্রী-প্রভাতি- ৭০টি, ছাত্র-দিবা- ৭০টি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫দরকারি তথ্য—

১. আবেদনের সময় থানা ‘লালবাগ’ নির্বাচন করতে হবে।

২. আবেদন করা যাবে: ১১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

৩. ভর্তি: ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।

৪. ক্লাস শুরু হবে: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে।

৫. অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি: আবেদন ফি ২২০ টাকা জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে ।

৬. বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে পছন্দক্রমের তালিকায় অত্র কলেজকে অবশ্য ১ নম্বরে রাখতে হবে।

৭. বিশেষ নির্দেশনা: ১০ আগস্টের আগে নিজ নিজ ইউনিট হতে বিজিবি সন্তানের প্রত্যয়নপত্র প্রতিষ্ঠানের ১০১ নম্বর কক্ষে বা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে। প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক SQ কোটা নিশ্চায়ন করা হবে। প্রত্যয়নপত্রে অবশ্যই শিক্ষা বোর্ডের নাম, এসএসসি রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। নিশ্চায়ন ব্যতীত SQ কোটায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট:

আরও পড়ুনভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, আসন ২৩৯০টি২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তথ্য