জাবির নবীন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে শিবির
Published: 13th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের (৫৩ ব্যাচ) জন্য এককালীন শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) শাখা ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘ইসলামি শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র-ছাত্রী সমস্যার সমাধান’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা দেয়া হয়।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের চতুর্থ দফা ‘ইসলামি শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র-ছাত্রী সমস্যার সমাধান’ এর অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচি হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষাবৃত্তি ২০২৫’ এর জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।”
আবেদনের নিয়মাবলি ও শর্তের মধ্যে রয়েছে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী হতে হবে, আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রত্যয়নপত্র বা শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে, অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি প্রাপ্ত হলে তিনি এ বৃত্তির জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন, পিতামাতার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি হলে আবেদনের অযোগ্য হবে এবং অসত্য তথ্যের সন্নিবেশ ও অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে- বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি/আলিম/সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.
উপরিউক্ত শর্ত পূরণ ও নিয়মাবলি মেনে আবেদন করলে জাবির ৫৩ ব্যাচের প্রত্যেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এককালীন ৫ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি।
আবেদনপত্র জমাদানের সময় ১৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগামী ৩, ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৩.০০টা থেকে ৫.০০টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।
আবেদনপত্র জমাদানের জন্য শিক্ষার্থীরা ০১৭৯০৭৩৪৯৪৭ অথবা ০১৮৭৯৩০৫২৪৭ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই লিঙ্কের মাধ্যমে আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে হবে।
শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চতুর্থ দফার কর্মসূচি হিসেবে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের 'শিক্ষাবৃত্তি ২০২৫' প্রদান করতে যাচ্ছি। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর। এ শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম নবীন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান এবং মেধার স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস মাত্র। শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে ভবিষ্যতেও আমাদের ইতিবাচক কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের পদাবনতি, দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই শিক্ষকের পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের আলী রেজওয়ানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এমবিএ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাকভির আল মাহমুদ ও সাইদ উদ্দিন আহমেদকে মাদক সেবনের অভিযোগে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং আবাসিক হলে অবস্থানের ওপরও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হায়দার আলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার বেলা ১১টায় সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়ে সন্ধ্যার পর শেষ হয়। সভায় অর্ধশতাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেসব লিখিত আকারে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
সিন্ডিকেট সভার একাধিক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে সান্ধ্যকালীন কোর্সের এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এবং বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় আলী রেজওয়ানকে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময় তদন্তের স্বার্থে ১ অক্টোবর তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁদের বিরুদ্ধে পদাবনতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে মাদক সেবনের সময় দুই শিক্ষার্থীসহ এক বহিরাগতকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিম। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং এক বছরের জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হায়দার আলী বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় সবার মতামতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু এই সিদ্ধান্ত নয়, আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সবার সম্মতিক্রমেই। আমি আসলে একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, কিছু চাপিয়েও দিতে পারি না। একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব সিন্ডিকেট সদস্যদের মত থাকে এখানে।’