জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের (৫৩ ব্যাচ) জন্য এককালীন শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা করেছে শাখা ছাত্রশিবির। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) শাখা ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘ইসলামি শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র-ছাত্রী সমস্যার সমাধান’  কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা দেয়া হয়।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের চতুর্থ দফা ‘ইসলামি শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র-ছাত্রী সমস্যার সমাধান’ এর অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচি হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষাবৃত্তি ২০২৫’ এর জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।”

আবেদনের নিয়মাবলি ও শর্তের মধ্যে রয়েছে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী হতে হবে, আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রত্যয়নপত্র বা শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে, অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি প্রাপ্ত হলে তিনি এ বৃত্তির জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন, পিতামাতার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি হলে আবেদনের অযোগ্য হবে এবং অসত্য তথ্যের সন্নিবেশ ও অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে- বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি/আলিম/সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.

৫০ ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি/আলিম/সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও মেধাবী হতে হবে।

উপরিউক্ত শর্ত পূরণ ও নিয়মাবলি মেনে আবেদন করলে জাবির ৫৩ ব্যাচের প্রত্যেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এককালীন ৫ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি।

আবেদনপত্র জমাদানের সময় ১৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগামী ৩, ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৩.০০টা থেকে ৫.০০টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।

আবেদনপত্র জমাদানের জন্য শিক্ষার্থীরা ০১৭৯০৭৩৪৯৪৭ অথবা ০১৮৭৯৩০৫২৪৭ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই লিঙ্কের মাধ্যমে আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে হবে।

শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চতুর্থ দফার কর্মসূচি হিসেবে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের 'শিক্ষাবৃত্তি ২০২৫' প্রদান করতে যাচ্ছি। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর। এ শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম নবীন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান এবং মেধার স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস মাত্র। শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে ভবিষ্যতেও আমাদের ইতিবাচক কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিম

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসানের একটি সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন এই সাবেক অধিনায়ক। সমকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তামিম পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনো ম্যাচ ‘বেছে বেছে’ খেলতে চাননি এবং সাকিবের কথায় কিছু ভুল তথ্য ছিল।

সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘সে তার মতামত দিয়েছে। কিছু ভুল তথ্য দিয়েছে। ওখানে সাকিব একটা কথা বলেছে—আমি বেছে বেছে ম্যাচ খেলতে চেয়েছি। এটা সে কোথায় পেয়েছে? ফিজিও বলেননি, নির্বাচকরা বলেননি, আমিও বলিনি।’ তামিম আরও জানান, এমন মন্তব্য শুনে তিনি কষ্ট নয়, বরং বিস্মিত হয়েছিলেন।

তামিম বলেন, যদি কোনোদিন সাকিবের সঙ্গে আড্ডায় বসা হয়, তাহলে তিনি বিষয়টি জানতে চাইবেন তার কাছ থেকে।

তবে শুধু সাকিবের কথাতেই নয়, বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘সাকিব আর আমার ঝামেলার কথা মিডিয়া অনেক আগে থেকেই জানত। খেলায় প্রভাব না পড়ায় কেউ লিখেনি। কিন্তু বিসিবি সভাপতি প্রকাশ্যে বলে দেওয়ার পর থেকেই মিডিয়ায় এসব লেখা শুরু হয়।’

তামিমের মতে, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ঠিক আগে বিষয়টি সামনে এনে এমন ‘ভাঙন’ সৃষ্টি করা হয়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই নিতে হবে। যদিও এখন তারা পদে নেই বলে এই মুহূর্তে কিছু বলার জায়গা দেখছেন না তামিম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে থাকবে মেডিকেল টিম
  • সাকিবের যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিম
  • বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান
  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • করোনা বাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিকল্প চিন্তা
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ
  • যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা আছে বিকল্প চিন্তাও