বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিতলমারী থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন।  

ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, “বাদশা মিয়া ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আড়ুয়াবর্নি গ্রামের ব্যবসায়ী শামীম শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে চাঁদার দাবিতে লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় তখন একটি মামলা হয়। এরপর তিনি (বাদশা মিয়া) দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তার এলাকায় ফিরে আসার খবর আসে। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার নালুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

আরো পড়ুন:

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

মগ লিবারেশন পার্টির সদস্য অস্ত্রসহ আটক

তিনি আরো বলেন, “বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে চিতলমারী থানাসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় হত্যা, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাটসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শামীম শেখ বলেন, “বহুদিন ধরে তার (বাদশা মিয়া) নেতৃত্বে আমরা নানাভাবে নিপীড়িত হয়েছি। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছি।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ