Risingbd:
2025-05-01@05:42:18 GMT

পাকিস্তান যাচ্ছেন রোহিত

Published: 15th, January 2025 GMT

পাকিস্তান যাচ্ছেন রোহিত

ভারত কোনভাবেই পাকিস্তানে যাবে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) এই ঘোষণার পর লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি তারা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ঠিকই অংশগ্রহণ করবে। তবে সূচি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে তাদের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু আরব আমিরাতে। তবে এসবের মাঝে চোখ কপালে তোলার মত খবর হচ্ছে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। 

ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে আলোচনার খোরাক তৈরি করেছে এ সংবাদ। কেন পাকিস্তান যাবেন রোহিত? এমন কৌতুহলী প্রশ্ন এখন ভক্তদের মনে মনে।

জানা গেছে, ভারত ক্রিকেট দল যাচ্ছে না পাকিস্তানে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রোহিত যাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশটিতে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৮ দলের অধিনায়ক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে ভারতীয় দলের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন রোহিতও।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে বিপিএল টিকিট কিনতে দীর্ঘ সারি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা

‘সুপার’ সাদিয়ার জাদুতে সুপার ওভারে ইংল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের বেসরকারি নিউজ এজেন্সি ‘আইএএনএস’। নিজস্ব সূত্রের বরাতে সংস্থাটি প্রতিবেদনে লিখেছে, “ভারতীয় দলের অধিনায়ক চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাবেন। কারণ, পিসিবি ২৯ বছর পর পাকিস্তানে একটি বিশাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসরের আয়োজনকে স্মরণী করে রাখতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে।”

তথ্য অনুযায়ী রোহিত যদি সত্যিই পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেন, তবে তার ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরাবে। এর আগে ২০০৮ সালে ভারত দলের হয়ে এশিয়া কাপ খেলতে ভারতে গিয়েছিলেন ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হাইব্রিড মডেলের বিধিতে বলা হয়েছে, প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচও হবে আরব আমিরাতে। ভারত যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে শিরোপা নির্ধারণীও ম্যাচ হবে সেখানে। তবে ভারতীয়রা আগেভাগে বাদ পড়লে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের মাটিতেই।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ক্ষণ এখনো চূড়ান্ত করেনি পিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে, ১৬ কিংবা ১৭ ফেব্রুয়ারি এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে। 

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সর্বশেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেবার তাদের সঙ্গে যৌথভেবে আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা এবং ভারতও। সুদীর্ঘ ২৯ বছর পর এই প্রথম কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান।

ঢাকা/নাভিদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ