জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও অন্য অংশীজন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় দুই ধাপে দলগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সরকারের অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত থাকবেন।

আজকের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ এবং নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট, দল ও সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন। তবে গতকাল বুধবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকের আমন্ত্রণ পাননি বলে সমকালকে জানিয়েছেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা।

অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টিকে আজকের বৈঠকে ডাকা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছে। অবশ্য অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বামপন্থি অন্য দলগুলোকে বৈঠকে ‘আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে’ বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার তরফে কোনো আমন্ত্রণ পাননি বলে জানান সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি জানান, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্য বাম দলগুলোও কোনো আমন্ত্রণ পায়নি।

এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এর খসড়া পাঠিয়েছিল সরকার। এটি দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রের দাবিতে সোচ্চার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও। বিভিন্ন নারী ও শিক্ষক সংগঠনসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গেও কথা বলেছে সরকার। আজকের বৈঠকে এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজকের দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে, সরকারের পক্ষ থেকে কবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রটি দেওয়া হবে। সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারি করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে, সেটিও চূড়ান্ত হবে।

ঘোষণাপত্রের দাবিতে প্রথম সোচ্চার হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দাবি তোলে জাতীয় নাগরিক কমিটিও। ছাত্র নেতারা ২৮ ডিসেম্বর একযোগে ঘোষণা দেন বছরের শেষ দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছিল, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এক দিন পর জানায়, সরকার সহযোগিতা করবে। ৩০ ডিসেম্বর ছিল নাটকীয়তা পূর্ণ। সেই রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণাপত্র তৈরি করবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দলগ ল র সরক র র আজক র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ