বন্দরে বসত ঘরে অগ্নিকান্ড, ক্ষয়ক্ষতি ৪ লাখ টাকা
Published: 16th, January 2025 GMT
বন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি বসত ঘর পুড়ে গিয়ে কমপক্ষে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৩ টার দিকে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন তাদের বসত ঘরে আগুন দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কামতাল এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবুল কালামের টিনসেট ভাড়াটিয়া বসত ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
আশেপাশের লোকজন আসার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়।
ভুক্তভোগী আবুল কালাম পেশায় একজন সংবাদকর্মী। পেশাগত কাজ শেষে রাতে পাশের ঘরে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে ফোন আসে তার বসত ঘর আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে কোনো ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া ছিলনা।
তিনি আরে বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে এলাকার কিছু লোকের সাথে শত্রুতার জেড় ধরে আগুন লাগিয়েছে । আগুন দেয়ার ঘটনায় তার সব শেষ হয়ে গেছে।
তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্ব পালন শেষে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘরের তালা বন্ধ করে ভাড়াটিয়ারা নাইট ডিউটিতে চলে যান। রাত ৩ টার দিকে আশেপাশের লোকজন চেচামেচি করে তাদের ঘরে আগুনে লাগছে।
দ্রুত ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখেন মুহূর্তের পুরো ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিছুই বাহির করতে পারিনি। তার ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তূতি চলছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, কয়েলের আগুন থেকে টিনসেট ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ই হয় ল কজন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।