রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯ নেতাকর্মীর পদ স্থগিত করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু নাছির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ স্বাক্ষরিক পৃথক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির  সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন।

আরো পড়ুন:

সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের পৌষ উৎসব উদযাপন

পদ স্থগিত নেতারা হলেন- বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.

ওমর আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য নুর কবির, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিন্নাত, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জুম্মান, কাচালং কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারওয়ার গাজী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন। 

আট নেতাকে দেওয়া পদ স্থগিতের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি, ২৫ ইং চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত ‘দৈনিক সাঙ্গু’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, স্থানীয় বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতৃবৃন্দের লিখিত অভিযোগ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয় যে, আপনারা দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। এরূপ অপকর্ম হতে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির পক্ষ হতে দলের সব নেতাকর্মীকে বহুবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা দলের দায়িত্বশীল পদে বহাল থেকে দলের সব নির্দেশনা অমান্য করে এসব গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন। 

আপনারা দলের সব নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃংখলা নষ্ট করায় আপনার সব পর্যায়ের দলীয় সব পদ-পদবী ও পদের কার্যক্রম দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হইল। উক্ত সময়ে আপনি কোনো প্রকার দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করিতে পারিবেন না।”

বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর আলীকে দেওয়া পদ স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়, “গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি, ২৫ ইং চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত ‘দৈনিক সাঙ্গু’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, স্থানীয় বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতৃবৃন্দের লিখিত অভিযোগ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয় যে, আপনি দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। এরূপ অপকর্ম হতে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির পক্ষ হতে দলের সব নেতাকর্মীকে বহুবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা দলের দায়িত্বশীল পদে বহাল থেকে দলের সব নির্দেশনা অমান্য করে এসব গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন। 

আপনি দলের সব নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃংখলা নষ্ট করায় আপনার সব পর্যায়ের দলীয় সব পদ-পদবী ও পদের কার্যক্রম দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হইল। উক্ত সময়ে আপনি কোনো প্রকার দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করিতে পারিবেন না।”

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলের জন্য বিব্রতকর ও মানহানীকর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত অভিযোগ সমূহ সরেজমিনে তদন্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাঙামাটি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আবু নাছিরকে আহ্বায়ক করে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে- জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী বাবর, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, এসএম শফিউল আজম, আব্দুল কুদ্দুছকে। এই কমিটিকে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জেলা বিএনপির কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/বিজয়/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দল য় স ন ম ও দল য় শ ছ ত রদল র ব এনপ র স ন ত কর ম র দল য় ক দল র র জন য উপজ ল আপন র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিট।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের অ্যাডহক কমিটির বিধান নেই। তবুও ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ অ্যাডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোনো ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে অ্যাডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। 

এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করবো।” 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেউ অপকর্ম করতে চাইলে সরাসরি ধরে পুলিশের কাছে দেবেন: মির্জা ফখরুল
  • ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি