ছয় মাসে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জব্দ করা ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জে বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।

বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল—২৪ হাজার ৭৫৬ বোতল বিদেশি মদ, ৩৬ লিটার বাংলা মদ, ৩ হাজার ৪৪৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৭৫৫ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৮৮১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ২৫টি বিয়ার ক্যান, ৮৯৮ বোতল ইস্কপ সিরাপ এবং ২০ প্যাকেট বিড়ি।  
মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম, বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো.

তানজিলুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাজিদুর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হরিপদ দাস।

লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সীমান্ত থেকে এসব মাদক জব্দ করা হয়। মাদক কারবারিদের কাছে এগুলোর বাজারমূল্য ৭ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এসব মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ ব স কর র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ