হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস
Published: 18th, January 2025 GMT
ছয় মাসে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জব্দ করা ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।   
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জে বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।
বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল—২৪ হাজার ৭৫৬ বোতল বিদেশি মদ, ৩৬ লিটার বাংলা মদ, ৩ হাজার ৪৪৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৭৫৫ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৮৮১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ২৫টি বিয়ার ক্যান, ৮৯৮ বোতল ইস্কপ সিরাপ এবং ২০ প্যাকেট বিড়ি।  
 মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম, বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো.                
      
				
লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সীমান্ত থেকে এসব মাদক জব্দ করা হয়। মাদক কারবারিদের কাছে এগুলোর বাজারমূল্য ৭ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এসব মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ ব স কর র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম