মঙ্গলবার থেকে অবৈধ অভিবাসীদের গণগ্রেপ্তার শুরু যুক্তরাষ্ট্রে
Published: 18th, January 2025 GMT
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরের দিনই মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের একজন শীর্ষ সীমান্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসা রিপাবলিকান ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপ হবে এটি। এর মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের প্রচারণার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন।
ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন মঙ্গলবার থেকে শিকাগোতে ‘অভিবাসন অভিযান’ চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) এবং অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার ফক্স নিউজে ট্রাম্পের আসন্ন ‘সীমান্ত জার’ টম হোমনের অভিযানের বিষয়টি জানিয়েছেন।
হোমান,ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সীমান্তে অভিবাসী বাবা-মা এবং শিশুদের পৃথক করার নীতি তত্ত্বাবধান করেছিলেন।
তিনি বলেছেন, “দেশের অনেক জায়গায় বড় অভিযান হতে চলেছে। শিকাগো অনেক জায়গার মধ্যে একটি মাত্র। মঙ্গলবার, আইসিই অবশেষে তাদের কাজ করতে বের হয়ে পড়বে।”
হোমান আরো বলেন, “আমরা আইসিইকে নির্দেশ দিয়েছি ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই অভিবাসন আইন বলবৎ করার। প্রথমে সবচেয়ে খারাপ, জননিরাপত্তার হুমকির দিকে মনোনিবেশ করা হবে। কিন্তু কেউই বাদ যাবে না। যারা অবৈধভাবে দেশে রয়েছে তাদের সমস্যা হবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।