রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনা আবারও ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউক্রেন শর্তহীন যুদ্ধবিরতির বিষয়টি তুললে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তা আবারও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর আগে ১৬ মে প্রথম দফা সরাসরি আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। তবে ইউক্রেন ২০ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি আলোচনার প্রস্তাব করেছে। 

এদিকে ওই বৈঠকে দুই পক্ষ মৃত সেনাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ ৬ হাজার করে সেনার মরদেহ বিনিময় করবে। এই চুক্তির আওতায় আহত ও বন্দি সেনাদেরও ফেরত আনা হবে।   

বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। উভয় দেশের আলোচকরা নিশ্চিত করেছেন, তারা গুরুতর আহত সৈন্য ও ২৫ বছরের কম বয়সী সব বন্দি যোদ্ধা বিনিময়েও রাজি হয়েছেন। 

আলোচনার পর ইউক্রেনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই কিসলিতস্যা বলেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো পক্ষই একমত হতে পারেনি। রাশিয়া নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেই চলেছে। 

রাশিয়ার পক্ষ থেকে সীমিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতা মেডিনস্কি বলেছেন, ‘আমরা সম্মুখ সারির কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় দুই থেকে তিন দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছি। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনাদের মরদেহ সংগ্রহের জন্য এটি দরকার।’   

রাশিয়ার সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে ফেদোরভ বলেন, সোমবার উভয় পক্ষই শান্তি প্রস্তাব পেশ করলেও তারা পরস্পরের মতকে গ্রহণ করতে পারেনি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান আলোচনাকে ‘চমৎকার’ বলে অভিহিত করেছেন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে সরাসরি বৈঠক চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।   

অন্যদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন ফ্রন্ট লাইনে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ক্রামাটোরস্ক শহরে একজন ও ইলিনিভকা শহরে প্রাণ গেছে দু’জনের। খারকিভ অঞ্চলে কুপিয়ানস্কের দক্ষিণে একটি গ্রামে হামলায় দুই নারী নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার আচরণে স্পষ্ট হয়েছে, তারা যুদ্ধ শেষ করতে চায় না।  

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আরামানথা ক্রিস্টিয়ানা নাসির। মঙ্গলবার সেনাসদরে তারা এই সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে।  

সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার নিয়ে কথা বলেন। একই সঙ্গে দুই দেশের সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় উপমন্ত্রী আরামানথা ক্রিস্টিয়ানা নাসির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ