Samakal:
2025-08-01@02:25:25 GMT

ঝুলে যাচ্ছে জুলাই ঘোষণা!

Published: 19th, January 2025 GMT

ঝুলে যাচ্ছে জুলাই ঘোষণা!

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আবারও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠিও পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া আগ্রহী যে কেউ সরাসরি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাহফুজ আলমকে যে কোনো মাধ্যমে লিখিতভাবে অভিমত জানাতে পারবেন। এ জন্য ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। 
গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছেন উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। নতুন করে মতামত চাওয়ায় জুলাই ঘোষণা ঝুলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ ধরনের চিঠি পায়নি। 

১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণা দেওয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হয়েছিল। তবে ১৫ জানুয়ারির কয়েক দিন আগেই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ১৬ জানুয়ারি সর্বদলীয় বৈঠকের পরই জুলাই ঘোষণার দিন-তারিখ চূড়ান্ত হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। এ নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। তবে কয়েকটি রাজনৈতিক দল বৈঠকে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যথাযথভাবে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় তারা এতে যোগ দেয়নি। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়– সরকার, নাগরিক কমিটিসহ সবাই মিলে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করবে। ওই দিনই মধ্যরাতে নাগরিক কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্র পাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে ওই দিন মার্চ ফর ইউনিটি নামে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয় নাগরিক কমিটি। এটি সফল করতে দেশব্যাপী প্রচারণা-জনসংযোগ, লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি দেয়। পাশাপাশি নাগরিক কমিটি থেকে একটি ঘোষণাপত্রের খসড়া সরকারকে দেওয়া হয়। এর ওপর নির্ভর করে সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন। কিন্তু সেখানে কিছু ইস্যুতে মতৈক্য হলেও সব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এক হতে পারেনি বলে জানা যায়। বিশেষ করে, ঘোষণাপত্রের বিষয়ে বিএনপির দ্বিমত না থাকলেও ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুরোপুরি একমত নয়। ঘোষণাপত্রের চেয়ে তারা এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে চায়। এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আবার মতামত আহ্বান করা হলো। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজন থেকে অভিমত নেওয়া হচ্ছে। অভিমত চিঠির মাধ্যমে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঠানো যাবে। এসব অভিমত পর্যালোচনা করে সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা অনতিবিলম্বে ঘোষিত হবে।
এ প্রসঙ্গে এবি পার্টির মহাসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সমকালকে বলেন, অভিমত জানানোর বিষয়ে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো চিঠি তারা পাননি। একই কথা জানিয়েছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ