ভূমি অধিগ্রহণকালীন প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, প্রকল্পের কারণে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্লান্ট ম্যানেজারের অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদ্যসরা। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রবেশ সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে আধা ঘণ্টার মতো সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃস্টি হয়। পরে আন্দোলনকারীরা সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক রবিউল আউয়াল অন্তর, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল প্যাদা, আবু বক্কর সিদ্দিক, সুজন মৃধা ও মেহেদী হাসান ইলিয়াস। 

বক্তারা জানান, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় কর্মকর্তারা ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের যোগ্যতানুযায়ী চাকরিসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা বাস্তবায়ন করেননি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীলরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব প্রতিশ্রুতি মেনে না নিলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার গোলাম মাওলা বলেন, “তারা যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন। আমাদের তারা হেনস্তা করার চেষ্টা করছে।” 

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন

পটুয়াখালীর ধানখালীতে সদ্য চালু হওয়া পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান ও ডেপুটি ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।

আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ একর এরিয়ার স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টিম, নৌ-বাহিনীর একটি টিম ও সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় রাত এগারোটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) ও তদন্ত কমিটির সদস্য শওকত ওসমান বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠনের পরই আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।”

পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল প্লান্টের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন ঘটেনি। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মূল্যবান কোন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পরিত্যক্ত বেশ কিছু স্ক্র্যাপসহ লোহা-লক্কর পুড়ে গেছে।

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন