আরাকান আর্মির হেফাজতে তিন কার্গো, টেকনাফ স্থলবন্দরে স্থবিরতা
Published: 20th, January 2025 GMT
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। সীমান্তবর্তী নৌপথে আরাকান আর্মির বাধার কারণে পণ্যবাহী ট্রলারগুলো বন্দরে পৌঁছাতে পারছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া তিনটি পণ্যবাহী কার্গো বোট নাফ নদের মোহনায় আটক করে আরাকান আর্মি। এসব নৌযানে প্রায় ৫০ হাজার বস্তা পণ্য আছে। কার্গোগুলো এখনো মংডুর খায়ুংখালী খালে আরাকান আর্মির হেফাজতে আছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেছেন, “কার্গোগুলো এখনো ছাড়েনি আরাকান আর্মি। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংঘাতের কারণে আগেই বাণিজ্য কমে গিয়েছিল। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ব্যবসায়ীরা টেকনাফ ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার কথা ভাববেন।”
গত ৮ ডিসেম্বর মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার পর মিয়ানমার থেকে আর কোনো পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আসেনি। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফে পৌঁছেছিল।
দেড় মাস বিরতির পর গত শনিবার মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা কার্গোগুলো টেকনাফের উদ্দেশে পাঠান। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নাফ নদের মোহনায় মিয়ানমারের জলসীমায় তল্লাশির নামে কার্গোগুলো আটকে দেয় আরাকান আর্মি। এগুলোতে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকার পণ্য আছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেছেন, “আশা করি, খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। তবে, সংঘাতের কারণে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সরকারের উচিত, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য সচল রাখা।”
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে অনেকেই দাম পরিশোধ করেও দেশে পণ্য আনতে পারছেন না। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সীমান্ত বাণিজ্য সচল রাখতে দুই দেশের আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর ক ন আর ম র ব যবস য় র
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা শুনেছেন ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তিনি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
একাধিক সূত্র জানায়, রিয়াজ হামিদুল্লাহ বিকেলে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় যান। তিনি আখাউড়া স্থলবন্দর, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যবসায়ীরা এ সময় বন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তাকে অবহিত করেন। পরে হাই কমিশনার এ বন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় যান।
আরো পড়ুন:
আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়েসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন দাবি
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রশংসা করলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
বৈঠকে ভারতের আগরতলাস্থ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি এম রাশেদুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নেসার ভূঁইয়া, মাছ আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নেসার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সমস্যার কথা উত্থাপন করেছি। বিশেষ করে সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার বিষয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি (হাইকমিশনার) জানিয়েছেন।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ