সকালের নাস্তা করতে পরোটা কিনে ডিজিটাল পেমেন্টে করতে গিয়েই ধার পড়ে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে হামলাকারী মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে রোববার তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।

সোমবার সকালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোনে লেনদেনের মাধ্যমে একটি পরোটা কেনার জন্য অর্থ প্রদান করে শেহজাদ। সেই সূত্র ধরেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল।

শেহজাদ যে হোটেল থেকে পরোটা কিনেছেন সেখানেই একসময় কাজ করতেন তিনি। তার কঠোর পরিশ্রমের জন্য তিনি সেখানে প্রশংসাও পেয়েছিলেন। পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি শেহজাদকে কাজ দিয়েছিলেন। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে জানিয়েছে পুলিশ।

১৫ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপরে হামলা হয়। অভিযুক্ত তাকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার কোপ মারে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বলিউড নবাবকে। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয় বলিউডে।

সাইফ আলি খানের উপর হওয়া হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজদকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বান্দ্রা আদালতের বিচারক। রোববার ভোরে ঠাণে জেলা থেকে গ্রেফতার করার পর আদালতে তোলে মুম্বাই পুলিশ। সূত্র: এনডিটিভি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ