রিসোর্টে আট তরুণ-তরুণীর বিয়ে নিয়ে তোলপাড়
Published: 20th, January 2025 GMT
সিলেটের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আট তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। রোববার দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকায় রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই মন্তব্য করছেন, রিসোর্ট মালিককে শাস্তি না দিয়ে এমন কাজের মধ্য দিয়ে কয়েকটি পরিবারকে হেয় করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার দুপুরে রিজেন্ট পার্ক ঘেরাও করে ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীদের আটক করেন দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার বাসিন্দারা। তাদের মধ্যে আটজনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি আটজনকে স্থানীয় কাজী ডেকে দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। বিবাহিতদের মধ্যে তিনজনের ১০ লাখ করে এবং একজনকে ১২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। বিয়ে হওয়া যুগলরা দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, ওসমানী নগর উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে উদ্বোধন করার পর থেকে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাম পার্ক হলেও এখানে তরুণ-তরুণীরা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকেন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। রোববার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা পার্কে হানা দিয়ে তরুণ তরুণীদের কক্ষের ভেতর আটকে রাখলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ লাইভ করতে থাকে। এমনকি তরুণ-তরুণীদের নানা অপ্রীতিকর প্রশ্ন করতে শোনা যায়। তাদের ছবিও দেওয়া হয়।
ফয়সল আহমদ নামে একজন লেখেন, এলাকাবাসী ও ‘মিডিয়া ফেসবুক’ ব্যবহারকারীদের অনুরোধ প্রতিটি পদক্ষেপ আগামীতে ভেবে-চিন্তে করবেন। কারো ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও বা ছবি প্রকাশ করা তাদের সারা জীবনের কলঙ্ক হতে পারে। ভবিষ্যতে তাদের সন্তান হবে, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সমাজ গড়তে হলে ব্যক্তি নয়, সিস্টেম বদলাতে হবে।
লিমা নামে একজন লেখেন, হায়ার ইজ দ্যা ল, দে আর এডাল্ট অ্যান্ড দ্যা হ্যাভ রাইট টু গো এনি হোয়ার, ইটস রিয়েলি শেইম ফর কান্ট্রি।
দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি লেখেন, এভাবে লাইভে নিয়ে আসা ঠিক হয়েছে কি?
মো.
মিডিয়ায় এভাবে প্রচারের কারণে সিলেটের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও কেউ কেউ লিখেন। বিএনপি নেতা তছির আলী জানান, গোপনে বিয়ে দিলে ভালো হতো।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল বলেন, খবর পেয়ে মুরব্বিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এনে আটজনকে বিয়ে পড়িয়ে দেই এবং বাকিদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়। এলাকার লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করার কথা বললে এলাকার লোকজন শান্ত হন বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোগলাবাজার থানা পুলিশ যায়। তবে স্থানীয় মুরুব্বিরা ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দিয়ে দেন। তবে তিনি বিয়ের বিষয় সম্পর্কে জানেন না বলে জানান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।