অধিনায়ক হয়ে ‘২০০ শতাংশ’ দেওয়ার কথা বললেন পন্ত
Published: 20th, January 2025 GMT
আগেই জানা গিয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক হবেন ঋভষ পন্ত। অবশেষে আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি, ২০২৪) আনুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক হিসেবে পন্তকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়কত্ব পেয়ে হার্ড হিটার এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, তিনি ২০০ শতাংশ দিতে প্রস্তুত।
‘‘আমার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা দেখানোর জন্য লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস পরিবারের প্রতি ধন্যবাদ। আমি ২০০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করব এবং এটাই আমার প্রতিশ্রুতি আপনাদের প্রতি। আপনারা আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন আমি আমার সামর্থের সবটুকু দিয়ে সেটার মান রাখার চেষ্টা করব। নতুন শক্তিতে নতুন শুরুর অপেক্ষায়। আশা করছি দারুণ কিছু হবে। অনেক মজা হবে।’’
মৌসুমপূর্ব নিলামে রেকর্ড ২৭ কোটি রূপিতে পন্তকে দলে ভিড়িয়েছিল লক্ষ্ণৌ। তার আগে শুরুর তিন মৌসুমে লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক ছিলেন লোকেশ রাহুল। তার জায়গায় ২০২৫ আইপিএলে নেতৃত্ব দিবেন পন্ত।
আরো পড়ুন:
বাবাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বাইক কিনে দিলেন রিংকু
অধিনায়ক বদলের পর একশও করতে পারেনি রাজশাহী
২০১৬ সাল থেকে দিল্ল ক্যাপিটালসের সঙ্গে ছিলেন পন্ত। এবার তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল করে লক্ষ্ণৌতে যোগ দিয়েছেন। লক্ষ্ণৌ এর আগে দুইবার প্লে’অফ খেলেছিল। সবশেষ ২০২৪ সালে তারা প্লে’অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। ১৪ ম্যাচের ৭টিতে জিতে ও ৭টিতে হেরে তারা ছিল পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে।
২১ মার্চ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লক্ষ্ণৌ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।