স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে উত্তাল রবি, অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা
Published: 21st, January 2025 GMT
প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পরও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আবারো মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন।
মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) দুপুরে এ দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকাল ৫টায় সকল অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দেন তারা।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ মে বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরই ১১ মে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৫’ এর খসড়া অনুমোদন হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই আইনটি সংসদে পাস হয়।
২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল ১০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির। স্থানীয় দুটি কলেজের ভবন ও একটি ভাড়া করা ভবনে চলছে এর শিক্ষা কার্যক্রম। শ্রেণি কক্ষ সংকট থাকায় একই কক্ষে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় ব্যাচের ক্লাস। বর্তমানে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.
প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জায়গা বরাদ্দ পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে গত বছর ১৮ নভেম্বর অস্থায়ী একাডেমিক ভবনে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিলেও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন তারা।
সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাএকটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। পরে সড়কের অবরোধ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে এসে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ সময় ‘রবিয়ানরা ভাড়া ঘরে, প্রশাসন কি করে’, ‘আর নয় আশ্বাস, দিতে হবে ক্যাম্পাস’, ‘আমার ক্যাম্পাস আমার ঘর, থাকব না আর যাযাবর’, ‘দফা এক দাবি এক, ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, “প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় আমরা যাযাবর জীবন কাটাচ্ছি। শ্রেণিকক্ষ সংকটে একাডেমিক কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে, হল না থাকায়ও আমরা চরম সংকটে ভুগছি। কিন্তু এতদিনেও প্রশাসন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।”
শিক্ষার্থী নোশীন বলেন, “প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিন পরেও ক্যাম্পাসের কোন আপডেট নেই। ক্যাম্পাস না থাকায় আবাসন, শ্রেণিকক্ষসহ নানা ধরনের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা ক্যাম্পাস চাইলে বৃত্তির নোটিশ আসে, ক্যান্টিন উদ্বোধন হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসে না। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসএম হাসান তালুকদার বলেন, “একাডেমিক ভবনের তালা দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা রাতে মিটিংয়ে বসব। শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়টির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। ক্যাম্পাসের অভাবে পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। সপ্তমবারেও পেপার সাবমিট করে আমরা জায়গা পাইনি। তারা যেভাবে বলেছে, আমরা সেভাবেই পেপার সাবমিট করেছি।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করে দিক, না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিক। এভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না।”
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ড ম ক ভবন এক ড ম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত
ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।
রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত
ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান।
রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ