পাউবো: ৩৩ লাখ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ দুর্নীতি!
Published: 21st, January 2025 GMT
৩৩ লাখ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকার অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ চিত্র খুলনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্কশপে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় দুদক। এ সময় প্রকল্পের সিভিল ও মেকানিক্যাল দুটি কাজেরই অনিয়ম দেখতে পান দুদক কর্মকর্তারা। যার মধ্যে মানহীন ও নিম্নমানের পুরাতন সরঞ্জাম ব্যবহার, কাজ শেষ হওয়ার আগে ঠিকাদারকে বিল প্রদানসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।
এছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ওয়ার্কশপের ভেতরের পরিত্যক্ত গোডাউনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্ক্রাব মালামাল কালো বাজারে বিক্রির প্রস্তুতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান
কবির বিন আনোয়ার ও আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কাজ ছিল ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ১০১ টাকার। যার মধ্যে ৭টি আইটেম রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি মেরামত, যা স্বল্প মূল্যের এবং ২টি মেকানিকাল, যা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টাকা হবে। এ সব কাজ সরেজমিন বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করে দেখা হয়।
তিনি জানান, মেকানিক্যাল যে দুটি কাজের মূল্য ২৬ থেকে ২৭ লাখ টাকা অথচ এ দুটির কোনো কাজ হয়নি। বাকি মেরামতের ৫টি কাজের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র। তাদের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযানে দুদকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণপূর্ত ও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।