Samakal:
2025-05-01@11:44:01 GMT

শিশুর প্রথম সলিড খাবার

Published: 21st, January 2025 GMT

শিশুর প্রথম সলিড খাবার

শিশু ছয় মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধ পান করে। ছয় মাস পর শিশু যখন বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খেতে শুরু করে তাকে উইনিং ফুড বলা হয়। এই উইনিং ফুড দিয়ে সলিড খাবার দেওয়া শুরু করা হয়। এ সলিড খাবার অবশ্যই ঘরের তৈরি খাবার দিয়ে শুরু করতে হবে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে শুরু করা যাবে না। এ জন্য মা, বাবা কিংবা অভিভাবকদের সলিড খাবার শুরু করার আগে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। 
শিশু প্রথম সলিড খাবারের মাধ্যমে নতুন স্বাদ ও গন্ধের পরিচয় পেতে শুরু করবে। এ জন্য এই সময় সব নতুন খাবার এক দিনে দেওয়া শুরু করবেন না। ধীরে ধীরে একেকটা করে খাবারে অভ্যস্ত করাতে হবে। 
শিশুকে সলিড খাবার দেওয়ার সময় অ্যালার্জি হতে পারে। এ জন্য খাবার গ্রহণের পর অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা– অভিভাবকদের চিহ্নিত করতে হবে। যেসব লক্ষণ দেখলে অ্যালার্জি বলে চিহ্নিত করবেন সেগুলো হলো– পেট ব্যথা ও পেট মোচড়, বারবার বমি, গায়ে র‌্যাশ ওঠা কিংবা লালচে ভাব দেখা দেওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। 
কোনো খাবার দেওয়ার পর এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে খাবারটি সাময়িক বন্ধ রাখুন। তারপর কিছুদিন পর সেটি আবার খাওয়াতে চেষ্টা করুন। যদি দ্বিতীয়বার শিশুর অ্যালার্জি হয়, তবে নিশ্চিত হোন সে খাবারে তার অ্যালার্জি আছে।
আমাদের দেশে অনেকেই শিশুর প্রথম সলিড খাবার হিসেবে খিচুড়ি দিয়ে থাকেন, যা ঠিক নয়। শুরুতে খিচুড়ি বা প্রোটিনের মতো ভারী খাবার দিলে শিশুর পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে। এ ছাড়া প্রথম খাবার হতে হবে একটি করে উপাদান। নতুন খাবার দেওয়ার আগে ৩ থেকে ৫ দিন বিরতি দিন।
শিশুকে দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পরিমাণ নরম খাবার দিয়ে শুরু করুন। শুরুতে সবজি হালকা চাপিয়ে নরম করে অথবা সেদ্ধ করে ম্যাশ করে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া পিউরি করে ফল দিতে পারেন। পাকা ফল চটকে ১ থেকে ২ চা চামচ দিতে হবে। আস্তে আস্তে চাল, ডাল ও দুটি সবজি মিশ্রিত করে খাওয়াতে হবে।
শিশুর সলিড ফুডের কিছু নমুনা 
চটকানো পাকা কলা, মিষ্টি আলুর পিউরি, ডালের পানি দিয়ে চটকানো নরম ভাত বা মাড়, পাকা ফলের রস, জাউ ভাত, সেদ্ধ নরম সবজি ইত্যাদি। ধীরে ধীরে চাল-ডালের খিচুড়ি দিতে হবে। শিশুর রান্না করা খাবারে অবশ্যই ২ থেকে ৩ চা চামচ তেল দিতে হবে। এর বেশি নয়। 
কতটুকু দেবেন 
প্রথম দিন ১ চা চামচ, দ্বিতীয় দিন ২ চা চামচ, তৃতীয় দিন ৩ চা চামচ, প্রতিদিন ১ পোয়া বাটির হাফ বাটি দিনে ২ বার বাড়তি খাবার দিতে হবে। ১ থেকে ২ বার পুষ্টিকর নাশতা দিতে হবে। সারাদিন শিশু ৩ ঘণ্টা পরপর খাবে; যার মধ্যে দুটি বাড়তি খাবার ও দুটি পুষ্টিকর নাশতা থাকবে। শিশুর খাবার  হজম ও পুষ্টি শোষণ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।
শিশুর সলিড খাবার দেওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয় 
lশিশুর প্রথম সলিড খাবার শুরু করার সময় জাউভাত বা খাবারের সঙ্গে কিছু সবজি যেমন কাঁচা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বরবটি, গাজর ইত্যাদি মিক্সড করে খাওয়াতে হবে।
lদুই বছরের আগে সরাসরি গরুর দুধ না খাওয়ানো ভালো।
lসব খাবার শিশুর পছন্দ নাও হতে পারে। এ জন্য শিশুকে জোর করে খাওয়াবেন না।
lশিশু খেতে না চাইলে ধীরে ধীরে তার খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবেন।
lব্লেন্ড করে বা লিকুইড করে শিশুকে খাবার দেবেন না। এতে সে চিবিয়ে খেতে শিখবে না।
lশিশুকে সবসময় ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ান এবং নিজ হাতে খেতে শেখান।
lশিশুকে খাওয়ানোর সময় অন্যমনস্ক হয়ে যেমন টিভি দেখতে দেখতে, খেলতে খেলতে, এদিক-ওদিক করে খাওয়াবেন না। v

লেখক: পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ জন য র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ