রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সড়ক থেকে সরে যান তারা। পরে যান চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাবে পড়ে আশপাশের বিভিন্ন সড়কে। তৈরি হয় তীব্র যানজট। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।

অবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরিসহ চার দফা দাবিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে যান। সেখানে তারা বৈঠক করেন। সন্ধ্যা ছয়টায় ম্যাটস শিক্ষার্থীদের পক্ষে আজকের মতো কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, আজকে সচিবালয়ে আলোচনায় উনারা আমাদের দাবি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আমাদের কাছে তারা একটু সময় চেয়েছেন। আমরা তাদের সাত দিনের সময় দিয়েছি। সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা সারাদেশ থেকে লংমার্চ করে ঢাকায় আসব।

বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যায়ে জনগণের চিকিৎসা ও পরিবার-পরিকল্পনা সেবার অংশ হিসেবে ম্যাটসের কোর্স চালু করা হয়েছে। এটি চার বছরের একটি ডিপ্লোমা কোর্স।

শিক্ষার্থীদের দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বৈষম্য নিরসনে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। সারাদেশে আন্দোলন করেও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় চার দফা দাবিতে শাহবাগে এসে জড়ো হন।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হচ্ছে—অনতিবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ সৃজন; কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা; প্রস্তাবিত ‘অ্যালাইড-হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড’ বাতিল করে স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ বোর্ড গঠন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ