সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
Published: 23rd, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মো. আলিফ (১৮) নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে একটি একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় শামীম ওসমানের ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরি ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া রাজু ও নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম মেম্বারসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দায়ের করার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। এরআগে আদালতের নির্দেশে বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী আহত মো.
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ-বাংলা ব্যাংক এলাকায় ভিকটিমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সাবেক এমপি শামীম ওসমান, তার ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র, শর্টগান, পিস্তল, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।
হামলাকারীদের গুলিতে ভিকটিমের বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা ট্রাস্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা শেষে বাদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা আদালতে নির্দেশে মামলাটি থানায় রুজু করেছি।
মামলার আসামি হলেন যারা :
১) এ.কে.এম শামীম ওসমান (৬৪),
২) সেলিম ওসমান (৭০), উভয় পিতা মৃত এ.কে.এম শামসুজ্জোহা,
৩) অয়ন ওসমান (৩৫), পিতা শামীম ওসমান,
৪) আজমেরী ওসমান (৪২), পিতা মৃত নাসিম ওসমান, সর্ব সাং-১৯৯ নবাব সলিমুল্লাহ রোড, চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ।
৫) ইয়াছিন হাজী (৬২), পিতা মুলফত আলী, সাং মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৬) আলহাজ্ব মোঃ মজিবুর রহমান পিতা মৃত রজ্জব আলী, সাং মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৭) শাহরিয়ার রহমান বাপ্পী (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, (ছাত্রলীগ ক্যাডার), সাং-২নং ঢাকেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা নারায়নগঞ্জ,
৮) হাজী মোঃ কালাচান বেপারী (৬০), পিতা-ইজ্জত আলী বেপারী, সাং-ডিক্রীর চর, পোঃ আলীরটেক, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ সদর,
৯) হযরত আলী (৪৫), পিতা-রমজান আলী মাতববর, সাং-আটি গ্রাম, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১০) শফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত শহিদ চেয়ারম্যান, সাং মিজমিজি পশ্চিম পাড়া, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
১১) রহিম মেম্বার, পিতা-মৃত জহির উদ্দিন, সাং-পাইনাদী, পোঃ নিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
১২) মোঃ সুফিয়ান, পিতা আব্দুস সামাদ, পোঃ মিজমিজি, পাগলাবাড়ী, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
১৩) পানি আক্তার (৩৮), পিতা-আব্দুল করিম, সাং সোনামিয়া মার্কেট, পোষ্ট আদমজী নগর, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৪) মানিক মাষ্টার (৪৮), পিতা মাইনুদ্দিন, সাং সোনামিয়া মার্কেট, পোষ্ট আদমজী নগর, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৫) খোকন (২৯), পিতা রহিম মেম্বার, সাং-পাইনাদী, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৬) চান মিয়া, (বঙ্গবন্ধু কর্মজীবীলীগ চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কমিটি), ফজর আলী চেয়ারম্যান, সাং-পাইনাদী, পোঃ মিজমিজি, থানা সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
১৭) শাহ নিজাম (৫৬) (যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, নারায়নগঞ্জ মহানগর
আওয়ামীলীগ), পিতা শাহ নুরুদ্দিন, সাং চাযাড়া, নারায়নগঞ্জ।
১৮) মোঃ মকবুল পেদা (৫৫), পিতা মৃত মুজাফফর পেলা, সাং-নলখোলা পেদা বাড়ী, পোঃ দশমিনা, থানা-দশমিনা, জেলা পটুয়াখালী, হাল সাং সাহেবপাড়া, সাইনবোড, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
১৯) তানজিল কবির সাজু (৪০), পিতা মৃত হুমায়ুন কবির, সাং-কদমতলী, খানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২০) রমজান, (যুবলীগ নেতা), পিতা গফুর, সাং-সিআইখোলা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২১) মোঃ ফারুক (৪০), পিতা মৃত মোঃ ফিরোজ মিয়া, সাং-কুড়িপাড়া, ২৭ নং ওয়ার্ড, থানা-বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২২) শুভ (৩৪) (যুবলীগ ক্যাডার), পিতা- ইসমাইল, সাং-২নং ওয়ার্ড, মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২৩) মোঃ খোকন এল.এক্স খোকন (৩২) (যুবলীগ ক্যাডার), পিতা আলী, সাং-মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২৪) মোঃ নজরুল ইসলাম (প্রচার সম্পাদক) ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ, পিতা মৃত মনির উদ্দিন, সাং ওয়াপদারপুল, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
২৫) মহিউদ্দিন ফর্মা, পিতা-মৃত বিল্লাল মিয়া, সাং-ফৈটকার বাড়ী, মিজমিজি আব্দুল আলী পুল
সংলগ্ন, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২৬) সাইফুদ্দিন সুজন, পিতা মৃত সোহেল আহম্মেদ, সাং- পরচলা, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমান সাং পাইনাদী নতুন মহল্লা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২৭) আমির, পিতা আব্দুস ছাত্তার, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
২৮) হামিম, পিতা আমির, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
২৯) মোঃ বখতিয়ার আহম্মেদ কাঞ্চী (শিবু), পিতা-মোঃ আব্দুস ছালাম, সাং-রোহিলা, দাউদপুর, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩০) ইমরান, পিতা-আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩১) আক্তার, পিতা-আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩২) মোক্তার, পিতা- আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৩) সিফাত, পিতা অজ্ঞাত, সাং-হক বাজার, কোতওয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৪) ইমন, পিতা-আব্দুল ছাত্তার বেপারী, সাং দক্ষিন কোতয়ালীবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৩৫) মোঃ নুর কামাল (৪৮), পিতা আলাউদ্দিন ভুইয়া, সাং মিজমিজি পূর্বপাড়া, আলামিন নগর, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ।
৩৬) মোঃ সাজু (৩৮), পিতা-মান্নান, সাং মিজমিজি পূর্বপাড়া, পাগলাবাড়ী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৭) মোশারফ হোসেন দীপু (৩৫), (আওয়ামীলীগ মৎসজীবী লীগের সাধান সম্পাদক, মতির ক্যাডার), পিতা-সামছুল হক, সাং-কদমতলী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৩৮) শহিদুল ইসলাম, (এমপি খোকার আমর্স ক্যাডার), পিতা-খালেক, সাং-শাহাপুর, থানা-সোনারগা, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
৩৯) গোলাম বর বাচ্চু (৫৮), পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন হাওলাদার, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-আরজি কলিকাপুর, থানা-বিমানবন্দর, জেলা-বরিশাল, বর্তমানে- সানারপাড়, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪০) জয়নাল গাজী (৬৯), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-উত্তর কদমতলী, গ্যাসলাইন রোড, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়নগঞ্জ,
৪১) মোঃ মশিউর রহমান বুলবুল (৪০), পিতা জাহাঙ্গীর মৃধা, (মতিউর রহমান মাষ্টারের বাসা সংলগ্ন), সাং-উলানিয়া, পোঃ উলানিয়া, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী,
৪১) স্বপন গাজী, পিতা মৃতঃ আউয়ব আলী গাজী, সাং-গোদনাইল, বার্মা স্ট্যান্ড, বাগানবাড়ী, কাজীবাড়ী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪২) হাজী রিপন গাজী, পিতা মৃত বাদশা গাজী, সাং- গোদনাইল, বার্মা স্ট্যান্ড, বাগপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ,
কাজীবাড়ী, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪২) হাজী রিপন গাজী, পিতা মৃত বাদশা গাজী, সাং- গোদনাইল, বার্মা স্ট্যান্ড, বাগপাড়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৩) সিহাব (৪০), পিতা-মৃত এ.কে.এম নাসিম উদ্দিন, সাং-গোদনাইল, পদ্মা ওয়েল কোম্পানী রোড, (মরহুম বশির চেয়ারম্যান এর বাড়ী), থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৪) মোঃ রাসেল (৩৪), পিতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সাং কুশিয়ারা দক্ষিনপাড়া, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৫) মোঃ আমির হোসেন ওরফে জামাই আমির (৪৮), পিতা- অজ্ঞাত, সাং-জালকুড়ি, পোষ্ট-জালকুড়ি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-পটুয়াখালী,
৪৬) গোলজার হোসেন (২৬), পিতা-মনির হোসেন, সাং-বাঘবাড়িয়া, পোঃ নারায়নগঞ্জ,
৪৭) বাবুল (৩৫), পিতা মৃত চান মিয়া, সাং-বাঘবাড়িয়া, পোঃ মহজমপুর, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৪৮) আমিনুল হক রাজু (স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সিদ্ধিরগঞ্জ থানা), পিতা-কাজিম ভুইয়া, সাং-মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেল-নারায়নগঞ্জ,
৪৯) মোঃ শাহজাদা (৬০), পিতা সোনামিয়া বেপারী, সাং-মইনাকান্দী, পোষ্ট সম্ভপুরা, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫০) খোরশেদ আলম, পিতা-আব্দুস ছাত্তার গাজী, হোল্ডিং নং-০৮, রাস্তা-র্যাংকিং স্ট্রীট, পোঃ ওয়ারী- ১২০৩, থানা-ওয়ারী, ঢাকা।
৫১) আমির হোসেন (৩৫), পিতা ইউনুছ আলী, সাং-মইনাকান্দী, পোষ্ট সম্ভপুরা, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫২) ইউনুছ আলী (৬০), পিতা মৃত আব্দুল খালেক, সাং-মইনাকান্দী, পোষ্ট সম্ভপুরা, থানা-সোনারগা, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫৩) সিমান্ত (২৫), ছাত্রলীগ নেতা (প্রতিষ্ঠাতা-টেনশন গ্রুপ), পিতা-শফিকুল ইসলাম, সাং-২নং ওয়ার্ড, আব্দুল আলী পুল, মিজমিজি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ,
৫৪) মোঃ ইসরাফিল (৩০), পিতা-মতি মিয়া, মাতা সামছুন নাহার, সাং মসিনাবন্দ, ১নং ওয়ার্ড, পোঃ গোগনগর, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, নারায়নগঞ্জ,
৫৫) মোঃ মিলন হোসেন (৪৮), পিতা-আব্দুল আজিজ, সাং মসিনাবন্দ, ১নং ওয়ার্ড, পোঃ গোগনগর, থানা- নারায়নগঞ্জ সদর, নারায়নগঞ্জ, আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০- ২০০ জন। আসামীগন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ল ম ওসম ন স দ ধ রগঞ জ শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ অয়ন ওসম ন স দ ধ রগঞ জ থ ন স ল ম ওসম ন শ ম ম ওসম ন স ব ক এমপ দ য় র কর হক ব জ র ল ইসল ম র রহম ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান, এই এলাকায় আমার জন্ম। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে আমাদের সন্তানদের জন্ম এই ফতুল্লা এলাকায়। ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে আমাদের জীবন।
এই এলাকা আমাদের খুবই আপন সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অত্র এলাকার সকল গ্রাম ও গঞ্জে আমি বিচরণ করেছি বিএনপি করায় কারনে। এই এলাকার বিএনপি নেতা থেকে শুধু করে সাধারণ জনগণ সবাই আমরা একই পরিবারের লোক।
তাই নতুন করে চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে আগামী দিনে আমরা ফতুল্লার সংসদ সদস্য ফতুল্লার সন্তানকে নির্বাচিত করব। কারন আমরা দেখেছি অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্য এলাকার অথবা অন্য জেলার নেতাকে এমপি নির্বাচিত করে ফতুল্লাবাসী সবসময় অবহেলিত।
ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য ফতুল্লার সন্তান এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ফতুল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। এবার সুযোগ এসেছে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। অতএব ফতুল্লার সন্তান হিসেবে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমি মেড ইন ফতুল্লা, মেড বাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক এ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হই।
১৯৮১ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা খানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি মীর শওকত আলী, জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব ফজলুল হক মিলন সহ অন্যানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০এর গন আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং ফতুয়া বানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে নামি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পথে নির্বাচন করি। ১৯৯৩ সালে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৪ সাল নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৮ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই (মাহবুবুল আলম ভারা শামসুজ্জামান দুদু কমিটি) (মির্জা ফখবুল ইসলাম শামসুজ্জামান দুদু কমিটি)। ২০০২ সালে পুনরায় জেলা কৃষক দলের সম্মেলনের মাধ্যমে ২য় বার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা দানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২য় বারের মত নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি (কাজী মনিরুজ্জামান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কমিটি)। ২০২১ সালে কৃষক দলের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব। ২০২২ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং প্রচার উপ-কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। এবং বর্তমানে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আমি আপনাদের মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণের নিকট আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নের সুযোগ দিবেন।