ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে– যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন হুমকির মধ্যেই ইউক্রেনের কয়েকটি শহর লক্ষ্য করে অন্তত ৯৯টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে একজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতভর হামলায় ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। জাপোরিঝিয়ার গভর্নর ইভান ফেডোরভের বলেন, হামলায় সেখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। 

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সুমি ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর মাইকোলাইভ লক্ষ্য করে অন্তত ৯৯টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া ইউক্রেনের সামরিক বিমানবন্দর ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, কিয়েভের সামরিক অস্ত্র ঘাঁটির পাশাপাশি কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। অন্যদিকে, ৬৫টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। একই সঙ্গে রাশিয়ার তেল ডিপো ও সামরিক কারখানা লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার যুদ্ধকালীন অর্থনীতির সংকট নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবগত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শ্রমিক ঘাটতি এবং রেকর্ড সামরিক ব্যয়ের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি চালু করা সুদের উচ্চ হারের দরুন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি কিছুটা চাপে পড়েছে। 

অন্যদিকে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা নিহত হন।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলে নানা আলোচনা হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মস্কো ও কিয়েভ। তবে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেখা দিয়েছে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন

দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে চীনের কোস্টগার্ড দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এ ঘটনা ফিলিপাইনের সঙ্গে দেশটির আঞ্চলিক বিরোধ আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিরোধপূর্ণ প্রবালপ্রাচীর স্যান্ডি কে-তে কালো পোশাক পরা কোস্টগার্ডের চার কর্মকর্তাকে চীনের জাতীয় পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এপ্রিলের শুরুর দিকে চীন ওই প্রবালপ্রাচীরে ‘সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করেছে’, সিসিটিভি এমনটাই জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কিছু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের পাল্টাপাল্টি দাবি আছে।

এ ঘটনার পর রোববার ফিলিপাইন তিনটি বালুচরে নামার কথা জানায় এবং চীনের ছবির অনুকরণে তাদের কর্মকর্তারাও একটি প্রবালপ্রাচীরে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি ছবি প্রকাশ করে। অবশ্য ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী যেসব বালুচরে নেমেছে, তার মধ্যে কোনোটি স্যান্ডি কে কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি জানায়, তারা একটি বালুচর থেকে এক হাজার গজ দূরে চীনা কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এবং আরও সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযানের ‘অবৈধ উপস্থিতি’ দেখতে পেয়েছিল।

পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার ও কর্তৃত্ব রক্ষায় ফিলিপাইন সরকারের অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ এই অভিযান,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

রোববারই পরে এক বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ড জানায়, তারা তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে ৬ ফিলিপিনোর ‘অবৈধভাবে নামার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে’। স্যান্ডি কে চীনে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীর নামে পরিচিত।

চীনের দিক থেকে সতর্কবার্তা ও নিরুৎসাহিত করার পরও ফিলিপাইনের ছয়জন অবৈধভাবে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে নামে। চীনের কোস্টগার্ড সদস্যরা এরপর ওই প্রবালপ্রাচীরে নামে এবং তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লিউ দেজুন এমনটাই বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন