নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক ডিআইজি বিপ্লব কুমার ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদসহ ৬৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

ভুক্তভোগী মিরাজ হোসেন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে মামলাটি রুজু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। 

মামলায় অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান হানিফ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরিদা ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বাদী মো.

মিরাজ হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৮ জুলাই বেলা ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। এ সময় ১ থেকে ১২নং আসামির নির্দেশে সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও মিছিলে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে তার চিকিৎসা করানো হয়।

আসামিদের ছোড়া ছিটাগুলি এখনো বাদীর দুই পায়ের রানে ও রানের পিছনের মাংসপেশির ভেতরে রয়েছে। এ ছোড়া গুলি এখন বের করা সম্ভব হয়নি বিধায় বাদী জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে দিনাতিপাত করছেন।

মামলায় আসামি হলেন যারা : -

১। শেখ হাসিনা (৬৫), সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পিতা-মৃত সেখ মজিবুর রহমান, সাং-৩২ ধানমন্ডি, ঢাকা।

২। আসাদুজ্জামান কামাল (৬০), (সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী), পিতা আশরাফ আলী খান, সাং-মনিপুরিপাড়া, থানা- তেঁজগাও, ঢাকা।

৩। ওবায়দুল কাদের (৬০), (সাবেক সেতু মন্ত্রী), পিতা- মোশারফ হোসেন, সাং-রাজাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী,

৪। জাহাঙ্গীর কবির নানক (৬০), (সাবেক মন্ত্রী), সাং- মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

৫। মাহবুবুর রহমান হানিফ (৬০), (যুগ্ম সাধারন সম্পাদক), বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

৬। মোঃ শামীম ওসমান (৫৫), সাবেক সংসদ সদস্য নারায়নগঞ্জ-৪ আসন, পিতা-মৃত এ. কে. এম সামছুজ্জোহা, চাষাড়া, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ।

৭। বিপ্লব কুমার দাস (৫৫), সাবেক ডি.আই.জি, ঢাকা।

৮। ডিবি হারুন (৫০) পিতা-অজ্ঞাত, (সাবেক ডিবি প্রধান) ঢাকা।

৯। শাহ নিজাম (৫২) পিতা-শাহ নুরুদ্দিন, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, নারায়নঞ্জ। নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ,

১০ । আজমেরী ওসমান (৫০), পিতা-নাসিম ওসমান, সাং- হীরামঞ্জিল, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ।

১১। ফরিদা (৬৫), পিতা-আঃ রহমান, স্বামী-খাজা মহিউদ্দিন, সদস্য মহিলা আওয়ামীলীগন, নারায়নগঞ্জ জেলা।

১২। মিজানুর রহমান (৫১), পিতা-অজ্ঞাত, (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, জেলা-নারায়নগঞ্জ। খানা-রূপগঞ্জ,

১৩।সজল ওরফে সন্ত্রাসী সজইল্লা (৩০), পিতা মদকা ইবু, উভয় সাং-লালখা, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ, সদস্য কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।

১৪। ইয়াবা সাইফুল (৩৩), পিতা-মদদী ইনু, সদস্য যবলীগ, সাং লালখা, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

১৫। রাম কৃষ্ণ সাহা (৫০) পিতা স্বদেশ চন্দ্র সাহা, সাং-বাপ্পি চত্তর, নিতাইগঞ্জ, থানা ও জেলা-নারায়নগঞ্জ।

১৬। মাখন বাবু (৫৫), পিতা-মৃত ব্রজ বল্লভ,

১৭। আলম (৩৫), পিতা-রফিকুল ইসলাম, উভয় সাং-ভুইগড়, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ।

১৮। ডালিম (৪৫), পিতা-আইয়ুব আলী,

১৯। বাচ্চু (৫০), পিতা-আইয়ুব আলী, উভয় সদস্য কুতুবপুর, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।

২০। আব্দুল বারেক ওরফে ফেন্সী আল আমিন (৪০), পিতা- মৃত আব্দুল হাই,

২১ । মোঃ হাসিবুল হাসান শান্ত (৩১), পিতা আমিন উদ্দিন, সাং-রসুলপুর, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য, তারাব পৌরসভা, রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ।

২২। রোশন আলী (৫২), পিতা-আনছার আলী,

২৩। জাহাঙ্গীর (২৫), পিতা বাচ্চু, সাং-লালখা, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ, সদস্য কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ।

২৪। হাশেম (৫৫), পিতা আরফান, সদস্য কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সাং-রামারবাগ, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

২৫। রহিম বাদশা (৫৮), পিতা-আনছার আলী, সদস্য কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, রামারবাগ, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

২৬। জাহিদ হাসান পিয়াল (২৮), সদস্য ছাত্রলী, পিতা সফি উদ্দিন, সাং দেওভোগ বেপারীপাড়া, থানা-ফতুল্লা, জেলা নারায়ানগঞ্জ,

২৭। রাশেদুল মোল্লা (৩৫), সদস্য শ্রমিকলীগ, পিতা মৃতঃ আক্কাস আলী মোল্লা,

২৮। দিদার মোল্লা (৪২), সদস্য শ্রমিকলীগ, পিতা মৃত নুর হোসেন মোল্লা, উভয় সাং-মোল্লা বাড়ী (পুরাতন), থানা- বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ।

২৯। রাসেল (৩২), সদস্য শ্রমিকলীগ, পিতা মৃত আজগর মাষ্টার, সাং-মোল্লা বাড়ী (পুরাতন), থানা-বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ।

৩০। আল আমিন (৩৭), শ্রমিকলীগ, পিতা-কামাল, সাং- কাজীবাড়ী স্কুলের পেছনে, থানা-বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ।

৩১। আবু সুফিয়ান (৪২), শ্রমিকলীগ, পিতা আবুল কাশেম, সাং-কাজী বাড়ী স্কুলের পেছনে, থানা-বন্দর, নারায়নগঞ্জ

৩২। সবুজ মোল্লা (৩০), সদস্য শ্রমিকলীগ, পিতা সফি মোল্লা, সাং মোল্লা বাড়ী, থানা-বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ।

৩৩। শামীম (৪০), সদস্য শ্রমিকলীগ, পিতা নজরুল ইসলাম, সাং-নুরপুর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ

৩৪। মিঠু (৩৮), শ্রমিকলীগ, পিতা একলাস, সাং- গনপাড়া, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ।

৩৫। মোঃ সুমন মিয়া (৩৬), পিতা-মোলজার, সদস্য যুবলীগ, বরাবর বাজার, তারাব পৌরসভা, খানা- রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ।

৩৬। আব্দুল সালাম ওরফে দালাল ছালাম (৫০) পিতা- অজ্ঞাত, সদস্য কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, সাং- পূর্ব লামাপাড়া, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৩৭। ফরিদ (৬০) পিতা অজ্ঞাত, সাং বায়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন, দক্ষিন শিয়াচর, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৩৮। ইমরান (২৩), পিতা সাহেব আলী, সদস্য যুবলীগ, সাং-জুজখোলা, পোঃ জুজখোলা, খানা ও জেলা- পিরোজপুর।

৩৯। ইবু মিয়া ওরফে ভূমিদস্যু ইবু (৬০), পিতা মৃত শুকুর আলী, লালখা, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৪০। মোঃ সোহাগ রনি (), সভাপতি ছাত্রলীগ, সোনারগা

৪১। মোঃ আশরাফ হোসেন (৩৩) সদস্য ঢাকা জেলা- ছাত্রলীগ। পিতা-কাজী আজহার হোসেন, পলাশপুর, দনিয়া, কদমতলী, ঢাকা।

৪২। মীর ফখরুল ইসলাম (৪৫), সদস্য আওয়ামীলীগ, পিতা অজ্ঞাত, সাং-সি,এ হামিদ রোড, প্রধান টাওয়ারের পিছনে, ডি প্লট, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।

৪৩। মীর নাবিল (২৭), সদস্য যুবলীগ, পিতা-মীল ফখরুল ইসলাম,

৪৪। কালা ওরফে ভূমিদস্যু কালা (৫০), পিতা-জুম্মান, সদস্য কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৪৫। ইমরান (৩২), পিতা-অজ্ঞাত, সদস্য ছাত্রলীগ, সাং ইসলামিয়া বাজার, সাং ইসলামীয়া বাজার, কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৪৬। সাকিল ওরফে ফিলার শাকিল (৪০) পিতা-অজ্ঞাত, যুবলীগ

৪৭। বশির আহম্মেদ (৩৮), সদস্য যুবলীগ, পিতা-ফরিদ উদ্দিন, সাং-শিয়াচর, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়গঞ্জ। জেলা-

৪৮। সাইফুল ইসলাম, (৩৫), (যুবলীগ), পিতা-মৃত ফরিদ উদ্দিন, সাং শিয়াচর, কুতুবপুর, ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ

৪৯। মোঃ সোহেল কিলার সোহেল, পিতা-মৃত ফরিদ উদ্দিন সাং শিয়াচর, কুতুবপুর, ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।

৫০। ফরিদ আহম্মেদ লিটন (৫০), পিতা অজ্ঞাত, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ফতুল্লা ইউনিয়ন, থানা-ফতুল্লা, জেলা নারায়নগঞ্জ।

৫১। বাচ্চু মিয়া (৫০), পিতা অজ্ঞাত, সাং-ফরিদা ভবন, চাঁনমারী, ফতুল্লা, নারয়নগঞ্জ।

৫২। মীর সোহেল (৫০), সভাপতি যুবলীগ, ফতুল্লা খানা, নারায়নগঞ্জ।

৫৩। আলাউদ্দিন (৫০),

৫৪। মহিউদ্দিন (৪৮), সর্ব পিতা মৃত কুদরত উল্লাহ, সদস্য যুবলীগ, সর্দার বাড়ী, পোষ্ট অফিস, ফতুল্লা, নারায়গঞ্জ।

৫৫। মানিক মিয়া (৪৮), পিতা মৃত কালাচান, সাং নিউ হাজীগঞ্জ মুলি বাশের মোড়, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৫৬। সুজন মিয়া (৪০), পিতা আলতাফ সরদার, সাং শান্তিধারা মেইন রোড, খানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৫৭। তাইজুল ইসলাম তাজুল (৪২), পিতা ইউনুছ মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, রঘুনাথপুর, খানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ।

৫৮। আশেক মাহমুদ আসকারী (৩৮), আওয়ামী সদস্য, পিতা-আব্দুল হান্নান, সাং-ব্রাহ্মনচক, থানা-মতল উত্তর, জেলা-চাঁদপুর। হাল সাং-৫৮৪ উইলসন রোড, কামরুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ

৫৯। সাহেবা আনমুন জোতি (২৫) পিতা-মুকুল রহমান, (আওয়ামী মহিলালীগ), সাং-রূপালী, ১০ তলা, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ।

৬০। ফাতেমা (২৫), পিতা-সাহেব আলী, আওয়ামী মহিলালীগ, থানা-জুজ খোলা, পোঃ জুজ খোলা, থানা ও জেলা-পিরোজপুর।

৬১। মোঃ সাহের (২৬), সদস্য আওয়ামীলীগ, পিতা সুলতান ফারুক, উত্তর চাষাড়া, থানা-ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।

৬২। রফিকুল ইসলাম রাব্বি (২৫), পিতা নুর মোহাম্মদ বাবু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামীলীগ, ৭৭৫ দক্ষিন সন্তাপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। (চলমান পাতা নং-০৮)

৬৩। মোঃ মহসীন (৪৭), পিতা-মৃত কালু মৃধা, সহ- সভাপতি-ইউনিয়ন যুবলীগ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ, সাং-জাহাঙ্গীর, থানা-রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ।

৬৪। মোঃ আসলাম (৫৫), পিতা মৃত ওসমান আলী, সাং তল্লা, থানা-ফতুল্লা, জেলা নারায়নগঞ্জ।

৬৫। মোঃ সাদ্দাম (৩৫) পিতা-ভূমিদস্যু ইকু, সাং পূর্ব শিয়াচর লালখা, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ। সর্ব পূর্ব শিয়াচর লালখা, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ ন আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম ওসম ন ল ইসল ম র রহম ন র পগঞ জ মন ত র উভয় স

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।

নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।

তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা। 

এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা। 

এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। 

তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।

চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না। 

এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। 

এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই। 

তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো? 

আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।

এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

 এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে