সন্ধ্যায় ঢাকা গাইবে পাকিস্তানের ‘কাবিশ’, সঙ্গে আরও যারা গাইবেন
Published: 25th, January 2025 GMT
‘ঢাকা ড্রিমস’ শিরোনামের কনসার্টে আজ গাইবে পাকিস্তানের ব্যান্ড কাভিশ। এর আগে গত ১০ ও ১১ জানুয়ারি পর পর দুইদিন কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। আয়োজক সংস্থা ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশনস জানিয়েছে, পিছিয়ে যাওয়া ঢাকা ড্রিমস কনসার্টটিই অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
আয়োজকরা জানিয়েছে, কনসার্টে অংশ নিতে গত ২২ জানুয়ারি রাতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে কাভিশ ব্যান্ড।
কাভিশের পাশাপাশি দেশের একাধিক শিল্পী ও ব্যান্ড পারফর্ম করবে ঢাকা ড্রিমস কনসার্টে। আয়োজন শুরু হবে ব্যান্ড লেভেল ফাইভের পরিবেশনা দিয়ে। এরপর মঞ্চে আসবে আরমীন মুসা ও ঘাসফড়িং কয়ার। তাদের পরিবেশনা শেষে পারফর্ম করবে ব্যান্ড শূন্য। কনসার্টে বিশেষ আকর্ষণ থাকবে শায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সুনিধি নায়েকের যৌথ পরিবেশনা। কাভিশের পারফরম্যান্স দিয়ে শেষ হবে আয়োজন।
১৯৯৮ সালে গায়ক জাফর জাইদি ও মাজ মাওদুদের হাত ধরে গড়ে ওঠে কাভিশ ব্যান্ড। ঢাকা ড্রিমস কনসার্টের মাধ্যমে প্রথমবার বাংলাদেশে গান শোনাবে দলটি।
ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশনসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা কাভিশকে ঢাকায় আনার সুযোগ পেয়ে খুবই আনন্দিত এবং এমন একটি সন্ধ্যার আয়োজন করছি, যেখানে দেশি ও আন্তর্জাতিক শিল্পীরা এক মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করবেন।
জানা গেছে, টিকিটের মূল্য ৪ হাজার টাকা। দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে বেলা ৩টায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।