মুলতানের পিচকে কী বলা যায়? ঘূর্ণি-ফাঁদ নাকি মরণ-ফাঁদ? উইকেট থেকে সাজঘরে ফিরতে পারলেই যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন ক্রিকেটাররা! দিন কয়েক আগেই এই মাঠে হয়েছিল নতুন রেকর্ড। পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পড়েছিল ১৯ উইকেট, যা ছিল পাকিস্তানের মাটিতে একদিনে সর্বোচ্চ। রেকর্ডটি টিকল না এক সপ্তাহও। সেই মুলতানেই আজ (২৫ জানুয়ারি, ২০২৫) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে অলআউট হয়েছে দুই দলই!

একদিনেই ২০ উইকেটর পতনে হয়েছে নতুন রেকর্ড! রচিত হলো নতুন ইতিহাসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে হাওয়ায় উড়ছিল পাকিস্তান। কিন্তু পুরো একটা দিন স্বস্তিতে কাটাতে পারলো না স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৫৪ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তানের ইনিংসও। প্রথম ইনিংসে ৯ রানের লিড নিয়েছে সফরকারী ক্যারিবিয়ানরা।

আরো পড়ুন:

আইএসআই কর্মকর্তাদের ঢাকা ‘সফরের গুজব’, নয়াদিল্লির পাত্তা

তৃতীয় দিনেই ১২৭ রানে জিতলো পাকিস্তান

 

প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজকে ১৬৩ রানে অলআউট করার পথে পাকিস্তানের স্পিনার নোমান আলী গড়েছেন আরেকটি রেকর্ড। পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের 'প্রথম স্পিনার' হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন এই ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার।

এশিয়ার মাটিতে পুরুষদের টেস্টে প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি উইকেট পড়ার রেকর্ড এটিই। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৭ সালে দিল্লি টেস্টে। ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সে টেস্টে প্রথম দিনে পড়েছিল ১৮ উইকেট।

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি স্পিনারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৮ রানেই তারা হারিয়ে বসেছিল ৭ উইকেট।

কঠিন সে বিপর্যয় থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়ায় নয়, দশ আর এগার নম্বর ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে। কেভিন হজ ২১, কেমার রোচ ২৫, এগার নম্বর ব্যাটসম্যান জোমেল ওয়ারিক্যানের মূল্যবান ৩৬ এবং গুদাকেশ মোতির ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন। স্পিনার নোমান আলি ৪১ রানে একাই শিকার করেন ৬টি উইকেট। আরেক স্পিনার সাজিদ খান নেন ২ উইকেট।

জবাবে দেখেশুনে শুরু করা পাকিস্তান একটা সময় ৪ উইকেটে ১১৯ রানে ছিল। সেখান থেকে আর ৩৫ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৯, সৌদ শাকিল ৩২, কামরান গুলাম ও সাদিদ খান ১৬ আর অধিনায়ক শান মাসুদ করেন ১৫ রান। ওয়ারিক্যান শিকার ৪৩ রানে ৪ উইকেট। মোতি এবং রোচ যথাক্রমে ৩টি ও ২টি করে উইকেট পান।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম দ ন র কর ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বড় রানের নিচে চাপা পড়ার ভয়টাও নিশ্চয়ই বাড়ছিল।

তবে বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বোলিংয়ে ভালোই কেটেছে তাঁদের। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটই তুলে নিয়ে অলআউট করেছে ৩০৭ রানে। তবে জিম্বাবুয়ে এরপরও স্বস্তিতে নেই। ১৫৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর ৩১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ১২৭ রান করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।

আরও পড়ুনআধা ঘণ্টার মধ্যেই গিলের দুই রেকর্ড ৫ ঘণ্টা আগে

দিনের প্রথম বলেই ৭০ বলে ৪১ রান করা উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে প্রথম উইকেট এনে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর ৬৬ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস ও ডেভন কনওয়ে। এবারও জিম্বাবুয়ের ত্রাতা হন মুজারাবানি। ৫৬ বলে ৩৪ রান করা হেনরি নিকোলসকে ফেরান ব্রায়ান বেটের ক্যাচ বানিয়ে।

এরপর কনওয়ে ১৭০ বলে ৮৮ রান করে তানাকা চিবাঙ্গার বলে ফিরে গেলে আরও চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টাটা করতে পেরেছেন শুধু ড্যারিল মিচেল। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ১১৯ বলে ৮০ রান করে নিউম্যান নিমহারির বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের মাত্র দুজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার