ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এপিপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রিন্স এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন টিএমএসএসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড ডিরেক্টর মো.

হাবিবুর রহমান মিপান।

শুক্রবার সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫ টায় শেষ হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ৮৯ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

আয়োজকরা জানান, এই প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে আইইউবিএটিতে কোন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হল। আইইউবিএটি থেকে প্রায় ১৫ হাজার অ্যালামনাই গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে সুনামের সঙ্গে দেশ ও দেশের বাহিরে কর্মরত রয়েছেন। আইইউবিএটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭টি ব্যাচে প্রায় ২ হাজারের বেশি ইঞ্জিনিয়ার গ্রাজুয়েশন সমাপ্ত করে দেশের উন্নয়নে নিয়োজিত আছেন।

নির্বাচন শেষে নব নির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের হেড প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম ও অ্যাসোসিয়েশনের বিদায়ী সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লেহাজ উদ্দিন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ