ফেনীর সোনাগাজীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন যুবদলকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পুরাতন সওদাগরহাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- চরদরবেশ ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিন খোকন (৩৪), মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টিটু (৪৩) ও রুবেল (৪০)। তারা উপজেলা যুবদলের কর্মী বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পুরাতন সওদাগরহাট এলাকায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিন যুবদলকর্মী। পথে একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন জনই আহত হন। আহতাবস্থায় তাদের প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জামাল উদ্দিন খোকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আহত যুবদলকর্মী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টিটু বলেন, ‘‘প্রোগ্রাম শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা আমাদের পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগে তারা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তিন জনকে জখম করে।’’

জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন খোকন বলেন, ‘‘হামলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। যতদূর জেনেছি, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জামাল উদ্দিনসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা হয়েছে।’’

সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞা বলেন, ‘‘আহতরা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতাদের জানানো হয়েছে।’’

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো.

রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।’’

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বায়েজীদ আকন বলেন, ‘‘পুরাতন সওদাগরহাট এলাকায় হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/সাহাব/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক

এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়। 

সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
 

ঢাকা/নুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত