টানা পাঁচ জয়ে রংপুরের পাশে বরিশালের
Published: 27th, January 2025 GMT
স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি নিয়েও ফরচুন বরিশালের শক্তির কাছে ধরাশয়ী খুলনা টাইগার্স। নিজেদের শক্তির দারুণ প্রদর্শনীতে তারা ম্যাচ জিতেছে অনায়েসে। টানা পাঁচ জয়ে অব্যাহত তাদের জয়রথ।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রথম দেখায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। আজকের ম্যাচেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষটায় বরিশাল দেখাল কেন তারা শিরোপার বড় দাবিদার।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে খুলনা টাইগার্স। জবাবে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। নিজেদের খেলা শেষ পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই তারা জিতেছে।
সবশেষ হেরেছিল রংপুর রাইডার্সের কাছে। আজকের জয়ে বরিশাল এখন রংপুরের পাশে। ১০ ম্যাচে দুই দলেরই জয় ৮টিতে। ১৬ পয়েন্ট দুই দলেরই। রান রেটে এগিয়ে রংপুর রয়েছে শীর্ষে। ১.
আরো পড়ুন:
নাঈম-অঙ্কন ঝড়ে খুলনার বড় পুঁজি
দিনভর নাটক, নতুন অভিজ্ঞতার পর বিপর্যস্ত ও বিরক্ত দলের এক হয়ে ওঠার গল্প
প্রথম ইনিংসের শুরুতে ছিল নাঈম শেখের ঝড়। শেষে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন টানেন দলকে। নাঈম ২৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেন। ১৮৮.৮৮ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ছিল তার ইনিংস। শেষ দিকে দলের দাবি মিটিয়ে ঝড় তোলেন অঙ্কন। ২২৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা অঙ্কন ১২ বল খেলেন। ২ চার ও ৩ ছক্কায় যোগ করেন ২৭ রান।
খুলনার শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানই এদিন রান পেয়েছেন। কারও স্ট্রাইক রেট একশর নিচে নামেনি। মিরাজ ও নাঈম উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৩ ওভারে ৪৭ রান জমা করেন। এবারের বিপিএল আসরে প্রথমবার খেলতে নামা ইবাদত হোসেন ভাঙেন এই জুটি। মিরাজকে টো এন্ড ইয়র্কারে বিট করে বোল্ড করেন দ্রুতগতির এই পেসার। খুলনার অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রান করেন।
ক্রিজে এসে অ্যালেক্স রস তিন সুইপ শটে ছক্কা, চার ও চার হাঁকান। মোহাম্মদ নবীর বলে সাজঘরে ফেরার আগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২০ রান। আফিফ হোসেন ২টি করে চার ও ছক্কা হাঁকালেও ২৭ বলে করেন মাত্র ৩২ রান।
আরেক বিদেশী ক্রিকেটার উইলিয়াম বোসিস্টো স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন ১৬ বলে ২০ রান করে। তখনও বোঝা যাচ্ছিল না সাতে নামা অঙ্কন কি করবেন। কিন্তু শেষের ব্যাটিং চিত্র পাল্টে দেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। তার ঝড়ো ২৭ রানের সুবাদে খুলনার স্কোরবোর্ডে হাসি ফুটেছে।
বল হাতে বরিশালের হয়ে ৪৯ রানে ২ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ফুলার, নবী ও ইবাদত।
লক্ষ্য তাড়ায় তাওহীদ হৃদয় ১টি করে চার ও ছক্কায় ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। সেখান থেকে তামিম ও মালান ৯১ রানের জুটি গড়েন। বরিশাল সেখানেই জয়ের ভিত পেয়ে যায়। যে জুটিতে মালানের অবদানই ছিল বেশি। ৩৩ বলে ৬১ রান করেন মালান। তামিম ২৩ বলে করেন ২৭ রান।
বরিশালের অধিনায়কের বিদায়ে এই জুটি ভাঙলে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। ১৯ রানের ব্যবধানে মালানও তার পথ অনুসরণ করেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া মালান ৩৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করেন।
এরপর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে বরিশাল লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। দুজই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করে ২৪ রানের দুইটি কার্যকারী ইনিংস খেলেন। দুজন পরপর দুই বলে আউট হলে আবার কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল। কিন্তু ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নবীর দায়িত্বশীল ইনিংসে খুব সহজেই বরিশাল লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ফাহিম ৬ বলে ১৮ রান করেন ১ চার ও ২ ছক্কায়। নবী ১০ বলে ১ ছক্কায় করেন ১৫ রান।
বরিশালের বিপক্ষে এই হারে খুলনার প্লে অফে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। ১০ ম্যাচে ছয়টি ম্যাচ হেরেছে তারা। জিতেছে মাত্র চারটি। পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে তাদের অবস্থান।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫