১৩ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে মাঠে নামছেন কোহলি
Published: 27th, January 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়া সফরের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিসহ ভারতের অন্যান্য ক্রিকেটাররা। অনেকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তাদেরকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে। সে অনুযায়ী রোহিত, ঋষভ পন্ত, শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালরা নেমে পড়েছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে নিজ নিজ প্রদেশের হয়ে খেলতে। তবে দিল্লির হয়ে পন্ত খেললেও কোহলির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে জানা গেল, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন কোহলি। তার আগে মঙ্গলবার তিনি যোগ দিবেন দলের সঙ্গে।
এছাড়া জানা গেছে, আগের রাউন্ডে তিনি হাঁটুর ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। গেল কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল কোহলি ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সঙ্গে কাজ করছেন। এবার মাঠে নামার পালা তার। সবশেষ ২০১২ সালে কোহলি খেলেছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে। এরপর আর খেলা হয়নি তার। এবার বাজে ফর্ম ও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) গাইডলাইনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নামতে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে কর্ণাটককে পরের রাউন্ড অবশ্যই জিততে হবে। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের দলে রাখা হয়েছে লোকেশ রাহুলকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা হরিয়ানার মুখোমুখি হবে তারা। রাহুল ছাড়াও কর্ণাটকের দলে আছেন দেবদূত পাড়িক্কল ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। রাহুল সবশেষ ২০১৯-২০২০ মৌসুমে খেলেছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে।
আরো পড়ুন:
দুর্নামের মাঝেই প্লে’অফের দৌড়ে দুর্বার রাজশাহী
প্লে’অফের দৌড়ে রাজশাহীর সামনে সুবর্ণ সুযোগ
এদিকে রবীন্দ্র জাদেজা খেলবেন সৌরাষ্ট্রের হয়ে। পরের রাউন্ডে সৌরাষ্ট্র মুখোমুখি হবে আসামের। আগের রাউন্ডে জাদেজা ১০ উইকেট নিয়ে দিল্লির বিপক্ষে দলকে জিতিয়েছিলেন। মোহাম্মদ সিরাজ ফিরবেন হায়দরাবাদের হয়ে। তারা খেলবে বিধর্বের বিপক্ষে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।