পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন পদ্ধতি প্রচলন করা হবে : উপদেষ্টা
Published: 28th, January 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত মি. পার্ক ইয়াং-সিক।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে উপদেষ্টার সাথে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পার্বত্যঞ্চলের পানি সমস্যা ও পরিবেশগত অন্যান্য সমস্যা নিরসনে কোরিয়ান পলিসি অনুসরণ করার কথা জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন পদ্ধতি প্রচলন করা হবে। কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সাথে চিন্তা চেতনার সাথে এগিয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশ ‘যেখানে যেমন, সেখানে তেমন’ উপায়ে সাজানো হবে।”
তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগানো হবে। পাহাড়ের বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা, পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। সরকার এখানে পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করতে আমরা বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে যাচ্ছি।”
উপদেষ্টা বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী। তিনি বলেন, কাপ্তাই লেক, নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রেখে পানির সমস্যার সমাধান করতে চাই। পরিবেশ সুরক্ষায় আমোদেরকে খুব বেশি সচেতন হতে হবে।”
পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ, বাঁশ চাষ, আম, কলা, আনারস চাষ, কফি ও কাজু বাদাম ফলনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের উৎপাদিত কাজু বাদাম ও কফি বাইরে রপ্তানি করার প্রক্রিয়া চলছে।”
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড.
ঢাকা/হাসান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’
পূর্ব সুন্দরবনের নিসর্গঘেরা অভয়ারণ্যে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার’। সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের বুক চিরে, নদীর নোনাজলে ভেসে, প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্যে ঘেরা এই কেন্দ্রটি চলতি নভেম্বর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন আলী বান্দা এরইমধ্যে ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি কেড়েছে। শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে ট্রলারযোগে মাত্র ৪০ মিনিটের নৌপথ পেরিয়ে পৌঁছানো যায় সেখানে।
যাত্রাপথে চোখে পড়ে বনের গভীর সবুজ গাছগাছালি, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া পাখি, কচুরিপানায় ঢাকা জলাশয় এবং সুন্দরী-গেওয়া গাছের সারি যা পর্যটকদের মোহিত করে।
বন বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। এখানে তৈরি হয়েছে ছয়তলা ভবনের সমান উচ্চতার একটি ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সুন্দরবনের বিস্তৃত সবুজাভ দৃশ্য চোখে ধরা পড়ে।
রয়েছে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ফুট ট্রেইল (ওয়াকওয়ে)। পথের দুই পাশে ঘন বনের মাঝে হাঁটলে দেখা যায় প্রকৃতির আসল রূপ। এছাড়া রয়েছে মিষ্টি পানির পুকুর, হরিণ রাখার সেড, জেটি, বিশ্রামাগার, সুভেনিয়ার শপ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় বনরক্ষী ও স্থানীয় গাইডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আলীবান্দা বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজগম্য স্পট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কম সময় ও কম ঝুঁকিতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে এখানে। স্থানীয় পর্যটকরা এরইমধ্যে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন বলেন, “আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে স্থানীয় গাইড, নৌযানচালক, হোটেল ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়বে।”
তবে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। আলীবান্দায় প্রবেশের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪৫ টাকা।
শরণখোলা ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল বয়াতী বলেন, ‘‘আলীবান্দায় প্রবেশ ফি ৩৪৫ টাকা, অথচ একই বনের করমজল পর্যটন পয়েন্টে ফি মাত্র ৪৬ টাকা। অনেকেই আলীবান্দায় যেতে আগ্রহী, কিন্তু ফি বেশি হওয়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’’
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আলীবান্দা এখন প্রায় প্রস্তুত। চলতি মাসেই এখানে হরিণ আনা হবে। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্পটটি। যেহেতু এটি ২০১৭ সালে ঘোষণা করা অভয়ারণ্য এলাকার অন্তর্ভুক্ত, তাই সাধারণ বনাঞ্চলের তুলনায় কিছু বিধিনিষেধ ও প্রবেশ ফি বেশি রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের দাবির বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে জানাব।’’
ঢাকা/শহিদুল/এস