বিপিএলের অনান্য দলগুলোর পারিশ্রমিক জটিলতার বিষয়গুলো যখন সামনে আসছিল সেগুলো নিয়ে আফসোসে পুড়ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাননি তিনিও। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজ। বিপিএল প্রায় শেষের দিকে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু খুলনার খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৪০ শতাংশ।

এক সপ্তাহের ভেতরে সেসব পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে। বুধবার দুপুরে মিরাজ বলেছেন, ‘‘আমাদের দল ইতোমধ্যে ৪০% পেমেন্ট করে দিয়েছে। আর আমার সঙ্গে ইকবাল ভাইয়ের (ইকবাল আল মাহমুদ) কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই সপ্তাহের ভেতর ৩০-৩৫% পেমেন্ট করে দেবে। অলমোস্ট তো ৭০% এর কাছাকাছি আমরা সবাই পেয়ে যাবো।’’

সার্বিক পরিস্থিতিতে মিরাজ হতাশা ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘‘অবশ্যই এটা খারাপ লাগছে। দিনশেষে তো আমরা খেলোয়াড়রা ক্রিকেট খেলি টাকার জন্য। যদি পারিশ্রমিক না পাই, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্যই খারাপ।’’

আরো পড়ুন:

দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা 

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া পুত্রকে ১৫.

৮ লাখ টাকা দিলো বিসিবি 

ক্রিকেটের বদনাম যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে বললেন মিরাজ, ‘‘দিনশেষে কিন্তু আমাদেরই সবার বদনাম হবে। আমরা যদি এ জিনিসগুলো ঠিকঠাক মতো স্থির করতে না পারি। ঠিকঠাক কাঠামোতে আনতে না পারি, তাহলে দিনশেষে আমাদের ক্রিকেটের জন্য বদনাম হবে। আমাদের সবার বদনাম হবে। আমাদের প্রত্যেকরেই দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোনো রকম বদনাম না হয়। আমরা খুব সুন্দরভাবে যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছি, বিশ্বে আমরা ভালো করলে বাহবা দেয়; সে জিনিসটা আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব বজায় রাখা।’’

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিষয়টিকে সামনে আনলেন মিরাজ, ‘‘একটা জিনিস দেখেন, এ বছর পরিস্থিতি একটু আলাদাভাবে হয়েছে। এর আগে কিন্তু এরকম কখনো হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এই প্রথম এরকম পরিস্থিতি ঘটেছে। সবাই একটু ‘‘‘ইয়ের’’’ ভেতর আছে..সবাই যদি চিন্তা করে যে, না এখন আমাদের দেশ সেটেল নেই। এর জন্য হয়তো এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় আপনি যেটা বললেন, এখানে যারা দায়িত্বে আছে, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তারা এটা নিয়ে কাজ করবে। আশা করি তারা সুন্দর, ভালো একটা সমাধান দেবে। এবং তারা অবশ্যই খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকবে সবসময় আমার কাছে মনে হয়।’’

বিদেশী ক্রিকেটারদের পারিশ্রামিকও বকেয়া রেখেছেন ফ্রাঞ্চাইজিরা। পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা ম্যাচও বয়কট করেছিলেন। এছাড়া চিটাগং কিংসের বিদেশী ক্রিকেটাররাও পাননি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পারিশ্রমিক। এসব নিয়ে মিরাজ স্রেফ বললেন, ‘‘ইমভারেসিং। এটা তো অবশ্যই খারাপ বিষয়।’’

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল পর স থ ত র জন য অবশ য বদন ম

এছাড়াও পড়ুন:

আমার বাচ্চার দাদা-দাদিও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন, প্রশ্ন পরীমণির

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অধিক আলোচনায় থাকেন। কারণ নিজের ইচ্ছায় বাঁচেন এই নায়িকা। ফলে তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন উড়লেও তা গায়ে মাখেন না।  

ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার বিয়ে করেছেন পরীমণি। সর্বশেষ অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। এ সংসারে পূণ্য নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। যদিও এ সংসারও টিকেনি। প্রেম, বিয়েবিচ্ছেদ, সন্তান নিয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।  

আরো পড়ুন:

ঈদে মুক্তি পাবে পরীমণির সিনেমা

শুধু বেঁচে থাকার চেয়ে, বাঁচা জীবন উদযাপন করাই শ্রেয়: পরীমণি

এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক জানতে চান, তোমার কি মনে হয় বিয়েটা ভুল ছিল? জবাবে পরীমণি বলেন, “না। আমার জীবনের কোনো কিছুই ভুল না। সবকিছুই একটা অভিজ্ঞতা।” সঞ্চালক বলেন, আমার মনে হয়, তোমার সাথে এখন পূণ্য থাকার কারণে বিয়েটাকে ভুল বলছো না। জবাবে পরীমণি বলেন, “না, না। ও না থাকলেও বলতাম। অন্য একজনকে নিয়ে কেন বলি না। সবচেয়ে বেশি আফসোস কী জানেন, আমার সাথে কোনো এক্সের (প্রাক্তন) ওই মুহূর্ত আসে নাই, যেখানে গালাগালির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে পরীমণি বলেন, “যে গালিটা চরিত্রের উপরে যাবে, হৃদয়ে লাগবে। মানে আত্মসম্মানে লাগবে এমন কিছু গালি থাকে না! সেটা হতে পারে তুই অথবা কোনো গালিই না! এরকম কোনো পর্যায় আমার এক্সের সাথে হয় নাই। যখন আমার মনে হয়েছে, ওই পক্ষটা আর আগাবে না, টাফ ছিল…।” 

এরপর সঞ্চালক জানতে চান, তুমি কী সংসারটা ধরে রাখতে চেয়েছিলে? জবাবে পরীমণি বলেন, “এটা পরে বলি। আমরা দুইপক্ষ যখন বসলাম যে, এটা আর আগানো যাবে না, একটা রেসপেক্টফুল জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা ব্রেকআপ করি। কেন? হয়তো কোথাও দেখা হবে! হয়তো দেখা হবে না। কিন্তু কোথাও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে নামটা আসলে, সেখান থেকে উঠে চলে যাব ব্যাপারটা এরকম যেন  না হয়, ব্যাপারটা যাতে সহনশীল একটা জায়গায় থাকে। এই সম্মানটা আমি সবার কাছ থেকে পেয়েছি, সবাইকে দিয়েছিও। যে প্রাক্তনের (প্রাক্তন স্বামী) কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি অপমানিত হয়েছি। এসব তো আপনাদের সামনেই হয়েছে। বিচ্ছেদটা তো আরো সুন্দর হতে পারত, সেটা কেন হয়নি?” 

আমরা শুনেছি, এখন তিনি বাচ্চার (পূণ্য) খোঁজখবর নেন, ভরণপোষণ দেন—সঞ্চালকের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে পরীমণি বলেন, “আমি তো কোথাও শুনিনি। উনি মনে হয় ভুলে গেছেন, উনার বাচ্চা আছে। আমি নিশ্চিত, উনি ভুলে গেছেন।” কেউ কেউ বলেন, তুমি নাকি যোগাযোগ করতে দাও না? এ প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, “বাচ্চা বড় হয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এসব অভিযোগের কোনটা সে গ্রহণ করবে, কোনটা করবে না। আমি প্রত্যেকটি বিষয় ক্লিয়ার করে রেখে গিয়েছি, আম পাবলিক একটা কথা বলল সেটাও। আমি যদি আজকে মরেও যাই, এই পর্যন্ত যা যা হয়েছে, তার সবকিছুই ও পেয়ে যাবে। আমি এভাবে এটা রেখে গিয়েছি। এখন আমার কাজই এটা। মাদারহুডে আমি কোনোভাবেই ফেল করতে চাই না, আমি করবও না। আমার বাচ্চা কোনো দিন আমার দিকে আঙুল তুলে কথা বলতে পারবে না। এমন না যে, ও ওর বাবাকে অসম্মান করে কথা বলবে। কারণ আমি ওকে ওইভাবে বড় করছি।”

বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পরীমণি বলেন, “হাসপাতালে উনার নাম্বার দেওয়া। আমি আসলে উনার নামটাও মুখে নিতে চাই না। যাহোক, পূণ্যর টিকার ডেটে হাসাপাতাল থেকে মেসেজে উনার ফোন নাম্বারে যায়, উনি কি এটা দেখেন না? আমি কোনো অভিযোগ করছি না, যারা বলেন আমি যোগাযোগ করতে দিই না, তাদের জন্য বলছি—‘এসব তথ্য ভুল’। উনি না হয় ভুলে যান, কিন্তু আমার বাচ্চার দাদা-দাদি নাই? রক্ত তো মুছে ফেলা যায় না। পূণ্যর বিশেষ দিনগুলোতে তারা কেন একটা ফোন দেন না? পূণ্য যখন অসুস্থ হয়, তখনো কেন ফোন করেন না, খোঁজখবর নেন না? খোঁজখবর নেওয়া মানে তো ভরণপোষণ দেওয়া না, আমার বাচ্চার ভরণপোষণ লাগে না। তারাও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন?”    

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমার বাচ্চার দাদা-দাদিও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন, প্রশ্ন পরীমণির