‘দেশ সেটেল নেই’- পারিশ্রমিক ইস্যুতে মিরাজ
Published: 29th, January 2025 GMT
বিপিএলের অনান্য দলগুলোর পারিশ্রমিক জটিলতার বিষয়গুলো যখন সামনে আসছিল সেগুলো নিয়ে আফসোসে পুড়ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাননি তিনিও। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজ। বিপিএল প্রায় শেষের দিকে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু খুলনার খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৪০ শতাংশ।
এক সপ্তাহের ভেতরে সেসব পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে। বুধবার দুপুরে মিরাজ বলেছেন, ‘‘আমাদের দল ইতোমধ্যে ৪০% পেমেন্ট করে দিয়েছে। আর আমার সঙ্গে ইকবাল ভাইয়ের (ইকবাল আল মাহমুদ) কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই সপ্তাহের ভেতর ৩০-৩৫% পেমেন্ট করে দেবে। অলমোস্ট তো ৭০% এর কাছাকাছি আমরা সবাই পেয়ে যাবো।’’
সার্বিক পরিস্থিতিতে মিরাজ হতাশা ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘‘অবশ্যই এটা খারাপ লাগছে। দিনশেষে তো আমরা খেলোয়াড়রা ক্রিকেট খেলি টাকার জন্য। যদি পারিশ্রমিক না পাই, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্যই খারাপ।’’
আরো পড়ুন:
দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া পুত্রকে ১৫.
ক্রিকেটের বদনাম যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে বললেন মিরাজ, ‘‘দিনশেষে কিন্তু আমাদেরই সবার বদনাম হবে। আমরা যদি এ জিনিসগুলো ঠিকঠাক মতো স্থির করতে না পারি। ঠিকঠাক কাঠামোতে আনতে না পারি, তাহলে দিনশেষে আমাদের ক্রিকেটের জন্য বদনাম হবে। আমাদের সবার বদনাম হবে। আমাদের প্রত্যেকরেই দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোনো রকম বদনাম না হয়। আমরা খুব সুন্দরভাবে যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছি, বিশ্বে আমরা ভালো করলে বাহবা দেয়; সে জিনিসটা আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব বজায় রাখা।’’
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিষয়টিকে সামনে আনলেন মিরাজ, ‘‘একটা জিনিস দেখেন, এ বছর পরিস্থিতি একটু আলাদাভাবে হয়েছে। এর আগে কিন্তু এরকম কখনো হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এই প্রথম এরকম পরিস্থিতি ঘটেছে। সবাই একটু ‘‘‘ইয়ের’’’ ভেতর আছে..সবাই যদি চিন্তা করে যে, না এখন আমাদের দেশ সেটেল নেই। এর জন্য হয়তো এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় আপনি যেটা বললেন, এখানে যারা দায়িত্বে আছে, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তারা এটা নিয়ে কাজ করবে। আশা করি তারা সুন্দর, ভালো একটা সমাধান দেবে। এবং তারা অবশ্যই খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকবে সবসময় আমার কাছে মনে হয়।’’
বিদেশী ক্রিকেটারদের পারিশ্রামিকও বকেয়া রেখেছেন ফ্রাঞ্চাইজিরা। পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা ম্যাচও বয়কট করেছিলেন। এছাড়া চিটাগং কিংসের বিদেশী ক্রিকেটাররাও পাননি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পারিশ্রমিক। এসব নিয়ে মিরাজ স্রেফ বললেন, ‘‘ইমভারেসিং। এটা তো অবশ্যই খারাপ বিষয়।’’
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল পর স থ ত র জন য অবশ য বদন ম
এছাড়াও পড়ুন:
এরকম ঘটনা আমি জীবনেও দেখিনি: ইসরায়েলি বাসিন্দা
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি শহরের একটি এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপ। শনিবার দিবাগত রাতে চালানো ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আবাসিক ব্লক ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সেখানে শিশুসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় দুইশত মানুষ এবং নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।
দেশটির উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, বাত ইয়ামে ৮ বছর বয়সী এক মেয়ে, ১০ বছর বয়সী এক ছেলে এবং ১৮ বছরের তরুণসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের
আইডিএফ জানিয়েছে, চারজন নিখোঁজ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ভোরে একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাত ইয়াম শহর। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এখানকার একটি আবাসিক ব্লক। বড় বড় দালান ভেঙে এখন সেখানে দেখা যাচ্ছে সব ইটের টুকরো। এক জায়গায় পড়ে আছে বাচ্চাদের খেলনা।
রিবাত ভাকনিন নামের বাসিন্দা জানান, তার বাবা নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি সময়মতো আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আমার ভাই বাবাকে নিতে ঘরের ভেতরে ঢুকেছিল। তারপরই হঠাৎ বিস্ফোরণ হলো। বড় একটা ধাক্কায় আমার ভাই ছিটকে পড়লো। কিন্তু আমার বাবাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
৫০ বছর বয়সী নারী গিমেল বলেন, তিনি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জয়া নামের পোষা কুকুরকে খুঁজছেন।
‘আমি বাড়িতে একা ছিলাম। সাইরেনের শব্দ শুনে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার কথা ভাবলাম। কিন্তু আমি প্রথমে দৌড়ে বাথরুমে গেলাম। তখনই আমি দুইটি বোমার শব্দ শুনতে পেলাম। আমার কাছে মনে হলো সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বাইরে বেরিয়ে জানতে পারলাম চারজন নারী নিহত হয়েছেন। আর তখনই আমার মাথার ওপর পুরো সিলিং ভেঙে পড়ল’, বলেন ওয়াইনেটকে।
তিনি বলেন, আমার মনে হলো- আমি মারা যাচ্ছি।
‘যখন বুঝতে পারলাম আমি জীবিত তখন আমার বাবা-মার কথা চিন্তা করলাম। তারাও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেননি। মনে হলো-আমরা সবাই জীবন্ত কবরের মধ্যে আছি’, বলেন ওয়াইনেটকে।
বারুচ বলেন, ‘আমি আমার জীবনেও এমন ঘটনা দেখিনি।’
‘আমি যুদ্ধে ছিলাম। ছয় দিনের যুদ্ধের সময় আমি গোলান হাইটসে ছিলাম। তখন বিমানগুলো আমার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল। আমি তখনকার বিমানের ক্ষমতা দেখেছি। কিন্তু এখনকার মতো পরিস্থিতি আমি কখনও দেখিনি। আমি বোমার ক্ষমতায় পুরোপুরি ভীত’, বলেন তিনি।