জানুয়ারিতে তৃতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা। যা এতদিন ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা।
আজ বুধবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, সোনা ও রুপার অলংকার কিনতে গেলে ক্রেতাকে নির্ধারিত দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৬ শতাংশ মজুরি গুণতে হবে। অর্থাৎ এখন ক্রেতা ২২ ক্যারেট মানের এক ভরি স্বর্ণের অংলকার কিনতে গেলে লাগবে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৩ টাকা (স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা, ভ্যাট-৭ হাজার ১৪০ টাকা এবং মজুরি ৮৬৬৭ টাকা)।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। যা ২৩ জানুয়ারি কার্যকর হয়, ওই দামে এতদিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হিসেবে বুধবার ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬১ টাকায় বিক্রি করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ র দ ম স বর ণ ২২ ক য র ট র এক ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী
ভারতের লখনৌতে অবতরণের সময় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ল্যান্ডিংয়ের পরই বিমানের বাঁ দিকের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে, দেখা যায় স্ফুলিঙ্গও। পাইলটের তৎপরতায় নিরাপদভাবে ২৫০ জনকে নামানো হয় লখনৌয়ে।
রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি-৩১১২ শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দা থেকে রওনা দেয়। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিমানটি লখনৌয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, অবতরণের ঠিক পরপরই বিমানের বাঁ দিকের চাকায় ধোঁয়া এবং আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বিপদ সংকেত পাঠান কন্ট্রোল রুমে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে আনা হয় ট্যাক্সিওয়েতে।
তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিমানবন্দরের এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। ফোম ও জল ব্যবহার করে ২০ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি। এরপর একে একে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় সব যাত্রী ও কর্মীদের। সৌভাগ্যবশত, কারো কোনো চোট লাগেনি।
তদন্তে জানা যায়, বিমানের হুইল অ্যাসেম্বলিতে আচমকা হাইড্রলিক তরল লিক করায় অতিরিক্ত ঘর্ষণে বেশি তাপ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ধোঁয়া ও স্ফুলিঙ্গের কারণ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সমস্যা যদি উড়া চলাকালীন বা টেক-অফের সময় ঘটত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও পাইলটের দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটি হাজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দা থেকে এসেছিল এবং খালি অবস্থায় সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।