Samakal:
2025-11-03@19:31:23 GMT

পদাবলি

Published: 30th, January 2025 GMT

পদাবলি

নয়া দুনিয়ার ভ্রূণ
শিহাব সরকার
 
জ্যোৎস্নার ধূলিঝড়ে যুবক অন্ধ স্বপ্নজালে
তরুণ কবির শত ডানা। কলরব। শত গর্জন
ডানা ভর করে অলীক পাখিরা উড়ে যায়
চেনা নদীতীর থেকে, নামে কুয়াশার ঝাউবনে
পাখি ও নদীর জীবন অনাদিকাল এই ধরনে।

বিপ্লবী কবিদের দ্যাখ হাই তোলে বারবার
স্বপ্নভুক তরুণেরে ক্লান্ত করে এইসব চলচ্ছবি।
কবি চায় পিলে চমকে দিয়ে ছুটুক সুনামি
কেন নয়, সকলেই করে চন্দ্র-বন্দনা, সকলের
ছায়াপথে আছে একেক জন মনামি।
ওরা কি চাহে না ঘুমে ঢুলুঢুলু কবিতাকে
চমকে দিয়ে আকাশ চিরে যাক দৈব বিদ্যুৎ
চৈত্রের রাতে প্রবীণ নভোচারীরা সব ফসিল।
নগর জ্বলছে, মৃত পাখিসব ঝরে পড়ে …
মার্কেজ, তোমার মুনিয়া মৌটুসি লালঝুটি টিয়া
কেউই বাঁচবে না প্রলয়ে? কবি ধুঁকছে ধূলিঝড়ে
তখনই স্বপ্নগ্রস্ত যুবক ঘুরে দাঁড়ায়
নয়া দুনিয়ার ভ্রূণ হারানো প্রত্ন নগরীর গুহায়।

 

সারলৌকিক
এমরান হাসান
 
শরীর ছিল।
বাঁকে ছিল উড়ে যাওয়া পাখি

অন্ধ শরীরে কপোত ফিরেছিল বাড়ি। বাতাসের নদী সাঁতরে রয়ে গেল নোনা আলো। তার বিপরীতে ঘুম গড়েছিল রাত; কামনার ঘ্রাণে পোড়া ধলেশ্বরী পাড়ে বহুদিন একা শুয়েছিল ঘাসফুল, জল আর বয়সের নদী। পাখিদের পায়ে তবু হারানো স্মৃতির ভিড়। তাঁতবোনা রাতের নকশায় আনন্দিত কালপুরুষ। নদীর স্রোতে ফেরে তার কামজ শরীর। আনকোরা শিকারির পায়ে বেঁধে দিয়ে বয়সের দায়; কোনকালে কে তুলে ধরে শরীরের প্রাণ?
বাঁকে বাঁকে রাত ছিল লেখা .

.. ধুলোহীন পথের আকাশে উড়ে যাওয়া পরাবাস্তব পাখি। শর্ষেফুলের গন্ধে যাযাবর কষ্টের পাশাপাশি কাহিনি কিংবা ঘরপোড়া কিশোরকালের ছবি ... ফ্রেম; শোক দিবসের কালো ব্যাজ। বহুদিন পড়া হয়নি নারীকাব্য। প্রাচীর ছিঁড়ে দেখা ভ্রূণ; শস্যের ইতিহাস। ভুল সকালে ফিরে যাই তুলে নিয়ে পথের অন্ধকার।
 

 

মস্তক নেমে আসবে মাটির কাছে
স্নিগ্ধা বাউল
 
বহুদিন এমন ঝুলতে চেয়েছিলাম
বিছানা থেকে সিলিং ফ‍্যানের দূরত্বে
কিংবা পড়ার টেবিল থেকে জানালার গ্রিল
তোমার অবিচার রাষ্ট্রের কাছে
ঝুলতে চেয়েছিলাম আশ্চর্য অশোক গাছে

বোধিবৃক্ষে তপ্ত রোদের নিচে
আলোকের মতো এক ধূমকেতু 
কলাভবনের ছাদে কিংবা অপরাজেয় বাংলায়
বাংলা বিভাগে 
মরে গেলে ঠিক চিনতে আমায়!

এমন সকালে ঝুলতাম অধিকারে
মুক্তির আশায় ...
অভিমানী মস্তক নেমে আসবে মাটির কাছে
হৃদয়ে স্থান নেবে জিহ্বা 
আর মধ‍্যাকাশে উড়বে আমার স্তন

বহুবার এমন মৃত্যুর কথাই ভেবেছি
আকাশ বাতাস তোলপাড় করা মৃত্যু 
সার্টিফিকেটের গোলামের মৃত্যু
দম ফুরিয়ে আসা জীবনের মৃত্যু!
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ