নাটোরের সিংড়ায় মসজিদের সিঁড়িতে ওসমান গনি বাবু নামে এক চাল ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিটি আহতের কোমরের নিচে লেগেছে। কী কারণে এই হামলা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ১০ নম্বর চৌগ্রাম ইউনিয়নের চৌগ্রাম পারুহারপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত ওসমান গনি বাবু একই গ্রামের আব্দুল প্রামানিকের ছেলে। তিনি চাল ব্যবসায়ী।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত
গোপালগঞ্জে ‘সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে হামলা, আহত ৮
ওসি আসমাউল হক জানান, আজ ভোর ৬টার দিকে ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ির পাশের মসজিদে যান ওসমান গনি বাবু। মসজিদের সিঁড়িতে উঠতেই পেছন থেকে তাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় একটি গুলি তার কোমরের নিচে লাগে। পরে মসজিদের অন্য মুসুল্লিদের চিৎকার শুনে বাবুর স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা বাবুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।”
তিনি আরো বলেন, “ওসমান গনি বাবুকে কে বা কারা কী কারণে গুলি করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।”
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত মসজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।