বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুর আগ থেকেই সরাসরি জড়িত ছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। তবে বিপিএল শুরুর পর তাকে আর কোথাও দেখা যায়নি। এমনকি খেলা দেখতেও আসেননি। 

অবশেষে বিপিএল শেষ হতে যখন ৬ দিন বাকি, তখন বিসিবিতে আসেন আসিফ। ততদিনে অবশ্য নানা অনিয়মে বিপর্যস্ত দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগটি। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিসিবিতে আসেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। রাত ৯টায় মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। শুরুতে নিজ থেকে বিপিএল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন আসিফ, “এবারের বিপিএলে আমরা কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, আপনারা অবগত আছেন।” 

আরো পড়ুন:

সেরা দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংস

ফিক্সিংয়ের সংবাদ নিয়ে মিথুন 
আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না

“ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটা সত্যানুসন্ধান কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে আমরা দেখছি।”

আসিফ মাহমুদের কাছে শুরুর দিকেই প্রশ্ন ছিল দুর্বার রাজশাহীর পেমেন্ট অনিয়মের প্রসঙ্গে। আসিফ দিয়েছেন কড়া বার্তা, “আমি সরাসরি রাজশাহীর মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সেটা দিয়ে দেবেন। আমি বলেছি, তিনি যদি সেটা করতে ব্যত্যয় হন, সেক্ষেত্রে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। এটার দায়টা কার ওপর আমাদের সত্যানুসন্ধান কমিটি বের করবে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

এর আগে, বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া নিয়ে সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আসিফও সেই পথে হাঁটলেন, “এনএসসি থেকে একটা সত্য অনুসন্ধান কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ফিক্সিংয়ের যে অভিযোগটা এসেছে সেটার ভিত্তিতে বিসিবি একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করবে, সেটা অনুসন্ধান করতে। সরকারের পক্ষ থেকে যা সহযোগিতা করা যায়, আমরা করব। যত দ্রুত এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেগুলো ঘটেছে, সেগুলোর অ্যাড্রেস করছি।’’

“কমিটি খুঁজে বের করবে যে দলগুলো সামর্থ্য ছিল না, তারা কীভাবে এখানে আসল।”

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ