রূপগঞ্জের গোয়ালপাড়া এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাসের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুর্বাচল ফায়ার সার্ভিয়ের দুটি ইউনিট আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটার দিকে মিলন মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অগ্নিকান্ডে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং তাৎক্ষনিক আগুনের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও নিরুপন করা যায়নি।

জানাগেছে,  মিলন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া নিয়ে ব্যালেডিয়াস বিজনেস সলুশন নামক ব্যানারে চার বছর ধরে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা করতেন গোলাম কিবরিয়া। দোকানের পেছনে করেছিলেন গোডাউন। গোডাউনে বিভিন্ন সাইজের ৫ শতাধিক সিলিন্ডার গ্যাস ছিল।

পুর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর আল মাসুদ জানান, সিলিন্ডার গ্যাসের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পাই বিকাল সোয়া চারটায়। পরে ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসি। দুটি ইউনিটের আধাঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ওই গোডাউনে প্রায় ৫ শতাধিক গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। যার দুই তৃতীয়াংশ সিলিন্ডার গ্যাস ভর্তি ছিল। আগুনের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যায়নি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ