বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অফিসার্স ক্লাবে ২০২৫-২০২৬ বর্ষের ২১তম বিসিএস অল ক্যাডার ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছ। সর্বসম্মতিক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহানকে মহাসচিব হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। গতকাল শনিবার এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে, মো.

আজমল হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা; মোহাম্মদ রিয়াজুল হক, অতিরিক্ত ডিআইজি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ; মোহাম্মদ বদরুল আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর (ঢাকা); শেখ শামীম বুলবুল, অতিরিক্ত কর কমিশনার, ঢাকা; এবং মোঃ আবুল হাসান মৃধা, মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মো. তৌফিক ইমাম, যুগ্মসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি, ডিএমপি; এবং ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল।

কোষাধ্যক্ষ পদে সাঈদ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ডেপুটি কম্পট্রোলার এ্যান্ড অডিটর জেনারেল; সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে মুনসী হুমায়ুন কবির (হিমু), সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারী কলেজ, হাজারীবাগ; দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ আব্দুস সোবহান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসা; সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসাবে ডাঃ আয়েশা আফরোজ চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ; ক্রীড়া সম্পাদক হিসাবে মোঃ আফসার উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর; সমাজকল্যান সম্পাদক পদে মোঃ মাহবুবুর রহমান, রেঞ্জ কমান্ডার (কুমিল্লা), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী; প্রচার এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক হিসাবে আবু সাইদ মোহাঃ ফিরোজজামান, সহযোগী অধ্যাপক; দুয়ারীপাড়া  সরকারী কলেজ, মিরপুর; সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে একে এম নুরুল হুদা আজাদ, মহাপরিচালক, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং এ্যাকাডেমি; স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে ডাঃ জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি, সহযোগী অধ্যাপক,  জাতীয় নিউরোসাইন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল; এবং নারী বিষয়ক সম্পাদিকা হিসাবে নাছিমা আক্তার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তর, নির্বাচিত হয়েছেন।

কমিটিতে সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী; জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল্লাহ হাক্কানী; জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শেখ জিয়ারাত ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. আমজাদ হোসেন; কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর এর  কমিশনার শেখ আবু ফয়সল মো. মুরাদ; ময়মনসিংহ রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আবুল কালাম আজাদ; আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ কমান্ডার (বরিশাল) মো. আসাদুজ্জামান গণি; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সোহেল শামসুদ্দীন ফিরোজ; এবং আনন্দ মোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন র রহম ন সহয গ ড আইজ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ