এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প
Published: 3rd, February 2025 GMT
এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কবে নাগাদ এ শুল্ক আরোপ করা হবে তা না জানালেও ‘খুব শিগগিরই’ এটি ঘটবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক খুব শিগগিরই কার্যকর হবে।”
ট্রাম্প বলেন, “কারণ তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সত্যিই আমাদের সুবিধা নিয়েছে। আমাদের ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঘাটতি রয়েছে। তারা আমাদের গাড়ি নেয় না, কৃষি পণ্য নেয় না। তারা প্রায় কিছুই নেয় না। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে সবকিছুই নিই- লাখ লাখ গাড়ি, প্রচুর পরিমাণে খাদ্য এবং কৃষি পণ্য।”
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিমান দুর্ঘটনা
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ কানাডা-মেক্সিকোর, মামলা করবে চীন
তিনি আরো বলেন, “আমি বলব না যে এর কোনো সময়সীমা আছে। তবে এটি (শুল্ক আরোপ) খুব শিগগিরই হতে যাচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদের কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের ওপর ইতিমধ্যে শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ ও চীনের পণ্যে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে স্থানীয় সময় শনিবার (১ জানুয়ারি) ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
আর এবার ইউরোপ নিয়েও একই বার্তা দিলেন তিনি।
এদিকে, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির কড়া জবাব দিয়েছে ইইউ। তিন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইইউ মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেকোনো শুল্ক অর্থনীতির অগ্রগতিকে অযথা ব্যাহত করে। মুদ্রাস্ফীতিকে ডেকে আনে। ইউরোপের পণ্যের ওপর অযথা শুল্ক আরোপ করলে আমরাও কঠোর পদক্ষেপ করব। এখনও পর্যন্ত কোনো বাড়তি শুল্কের কথা আমরা শুনিনি।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একটি বৈঠকে বসবেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল ক আর প ক র ইউর প র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’