Risingbd:
2025-08-02@10:32:38 GMT

সাধারণ ভাবনায় অসাধারণ নাসুম

Published: 3rd, February 2025 GMT

সাধারণ ভাবনায় অসাধারণ নাসুম

নাসুম আহমেদ তাহলে পুরো রংপুর রাইডার্সের সাথেই খেলল! যে ভাবনাতে রংপুর আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড, জেমস ভিঞ্চকে উড়িয়ে এনে চমক দেখাতে চেয়েছিল, নাসুম সেই ভাবনার কাছাকাছিতেও নেই। হুট করেই বিদেশিরা এসে অকল্পনীয় কিছু করবেন তেমনটা বিশ্বাস করেন না খুলনা টাইগার্সের এই স্পিনার। তার ভাবনাটা বেশ সরল, ‘‘বিদেশিরা তো আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। খেলতে হবে স্থানীয়দের।’’

মিরপুরে সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন নাসুম, মিরাজরা। দুই স্পিনার ৩টি করে উইকেট নিয়ে শুরুতেই রংপুরকে ধসিয়ে দিয়েছেন। তাতে ভিঞ্চ, রাসেল, ডেভিডদের নিয়েও রংপুর গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৫ রানে। একপেশে এলিমিনেটর ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতে ফাইনালের পথে আরেকটু এগিয়ে গেল মিরাজের দল।

৪ ওভারে ১ মেডেনে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নাসুম এই জয়ের নায়ক। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে নিজের আসনে বসতেই অতি সাধারণ নাসুমের কথা, ‘‘রিমান্ডে এসেছি।’’ গণমাধ্যম সামলনো তার কাছে ‘‘রিমান্ড’’ মনে হলেও রাসেল, ডেভিডদের বল করার কাজটা বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই করেছেন, ‘‘এই উইকেটে আমার বিদেশিদের বল করতে ভালোই লাগে (হাসি)। যে তিন জন বিদেশি খেলবে তা তো আগে জানতাম না। শুনছিলাম আসবে। সেভাবে পরিকল্পনাও করতে পারিনি।’’

আরো পড়ুন:

ধাক্কা সামলে শামীম ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল চিটাগং

২৪ ঘণ্টায় দুবাই-ঢাকায় রাসেলের দুই ম্যাচ, আশরাফুল বললেন, ‘আদর্শ নয়’

তবে উইকেট ৮৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার মতোও ছিল না বলে মত নাসুমের, ‘‘১৮০ রানের উইকেট ছিল। আমার কাছে মনে হয় প্রথম রান আউটে (সৌম্য সরকার) তারা একটু ব্যাকফুটে চলে গেছে।’’

প্রথম কোয়ালিফায়ারের ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ম্যাচের পরাজিত দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে খুলনা। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা চাইছে কাকে? নাসুমের সহজ কথা, ‘‘যেই আসুক টি-টোয়েন্টিতে সবাই সমান।’’ নিজেদের দলের শক্তি যে তাদের একতা সেটা বলতে ভুল করলেন না নাসুম, ‘‘আমাদের বেঞ্চের সবাই বেশ সামর্থ্যবান। কম্বিনেশনের জন্য খেলতে পারছে না। টিম বন্ডিং খুব ভালো। খেলি না খেলি সবাই এক আছি।’’

নতুন বলে নাসুম শুরুতে ২ ওভার করেন। তার করা প্রথম ওভারটিই ছিল মেডেন। সঙ্গে নেন ভিঞ্চের উইকেট। পরের ওভারে ফিরে আউট করেন সাইফ হাসানকে। নবম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে পেয়ে যান টিম ডেভিডের উইকেট। শুরুতে টানা বোলিংয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাসুম বলেছেন, ‘‘টানা বোলিং করানোর একটাই কারণ তাদের ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেশি ছিল। সেখানে আমার বল কার্যকরী ছিল। তাই মিরাজ টানা করিয়ে গিয়েছে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে

তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা। 

কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।

এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। 

বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে। 

রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা। 

নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা। 

রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।

বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ