থানা স্থানান্তর ও নাম বদলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 4th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার নাম পরিবর্তন করে ‘ঝাউদিয়া থানা’ করা এবং সেটি ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তরের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী।
ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বৃত্তিপাড়া বাজারে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলে।
মহাসড়ক অবরোধের ফলে কুষ্টিয়ার সঙ্গে ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হায়াত আলী বিশ্বাস বলেছেন, “ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম সমাপ্ত হলেও থানা উদ্বোধনে নানা গাফিলতি করা হচ্ছে। তাই, আজ আমরা ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে।”
ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শাহরিয়া ইমন রুবেল বলেন, “ঝাউদিয়া থানা স্থাপনের সব বিষয় নির্ধারণ হওয়ার পরও পুলিশ সুপার দিনের পর দিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছেন। আজকের আন্দোলনের দায় তাদেরকেই নিতে হবে।”
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “থানা স্থানান্তরের জন্য বেশকিছু প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপারও আছে। রাতারাতি সবকিছু করা সম্ভব হয় না। এর জন্য সময় প্রয়োজন।”
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।