কুষ্টিয়ায় থানা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট
Published: 4th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দা। থানা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া বাজারে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে।
বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও অবরোধ চলছিল। এতে উভয়পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন রয়েছে খুলনা বিভাগের যাতায়াতকারীদের। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঝাউদিয়া থানার অনুমোদন করেছে। তারপরেও একটি মহলের গড়িমসির কারণে এ থানা উদ্বোধন করা হচ্ছে না। তাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে থানা বাস্তবায়নের প্রতুশ্রুতি ছাড়া তারা মহাসড়ক থেকে সরে যাবেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে হাজারও মানুষ প্লাকার্ড ব্যানার নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা থানা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে সড়কের ওপর গাছের গুড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
থানা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হায়াত আলী বিশ্বাস বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু না করলে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সদস্য সচিব হায়াত আলী বলেন, ঝাউদিয়া গ্রামটি ছয়টি ইউনিয়নের মিডিল পয়েন্টে অবস্থিত। এজন্য ঝাউদিয়া এলাকাতে থানা হলে ছয়টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। কিন্তু এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি পক্ষ কাজ করছে। থানা ঝাউদিয়াতেই হতে হবে। তা না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হবে।
হায়াত আলী বলেন, ঝাউদিয়ার থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে কাগজে-কলমে। এ থানার নামেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন পুলিশ সদস্যরা। তারপরও অদৃশ্য কারণে থানার পুরো কার্যক্রম শুরু না করে তালবাহানা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঝাউদিয়াতে থানা স্থানন্তরের চিঠি হয়েছে। সেটা করতে একটা প্রক্রিয়া আছে। তবে একই সময়ে আরেকটা চিঠি এসেছে সেটা হল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে থানার বিষয়ে। সবমিলিয়ে সব বিষয় আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।