কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দা। থানা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া বাজারে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে।

বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও অবরোধ চলছিল। এতে উভয়পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন রয়েছে খুলনা বিভাগের যাতায়াতকারীদের। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঝাউদিয়া থানার অনুমোদন করেছে। তারপরেও একটি মহলের গড়িমসির কারণে এ থানা উদ্বোধন করা হচ্ছে না। তাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে থানা বাস্তবায়নের প্রতুশ্রুতি ছাড়া তারা মহাসড়ক থেকে সরে যাবেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে হাজারও মানুষ প্লাকার্ড ব্যানার নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা থানা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে সড়কের ওপর গাছের গুড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

থানা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হায়াত আলী বিশ্বাস বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু না করলে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সদস্য সচিব হায়াত আলী বলেন, ঝাউদিয়া গ্রামটি ছয়টি ইউনিয়নের মিডিল পয়েন্টে অবস্থিত। এজন্য ঝাউদিয়া এলাকাতে থানা হলে ছয়টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। কিন্তু এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি পক্ষ কাজ করছে। থানা ঝাউদিয়াতেই হতে হবে। তা না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হবে।

হায়াত আলী বলেন, ঝাউদিয়ার থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে কাগজে-কলমে। এ থানার নামেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন পুলিশ সদস্যরা। তারপরও অদৃশ্য কারণে থানার পুরো কার্যক্রম শুরু না করে তালবাহানা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঝাউদিয়াতে থানা স্থানন্তরের চিঠি হয়েছে। সেটা করতে একটা প্রক্রিয়া আছে। তবে একই সময়ে আরেকটা চিঠি এসেছে সেটা হল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে থানার বিষয়ে। সবমিলিয়ে সব বিষয় আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ