কারাবন্দি সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন চমেকে ভর্তি
Published: 5th, February 2025 GMT
কারাবন্দি সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত প্রবীণ এ রাজনীতিবিদকে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরিবারও।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো.
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ডিমেনশিয়াসহ নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখার পর ঢাকার পিজিতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য অবনতির কথা শোনা যাচ্ছিল। এতে তাঁর পরিবার একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করে। সুচিকিৎসা এবং জামিনের আবেদন জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ একাধিক দপ্তরে চিঠিও দেওয়া হয়।
তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তিনি কিছুই মনে রাখতে পারেন না। দিনের পর দিন একাকিত্বের কারণে এই রোগ তাঁকে বেশ কাবু করে ফেলছে। তাই কিছুদিন আগেও এসকল শারীরিক জটিলতা বিবেচনায় রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে জামিন এবং সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছিল মোশাররফের পরিবার।
পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭২ সালে তিনি সংবিধান প্রণেতাদের একজন ছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বিভিন্ন সময়ে সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ মন ত র র পর ব র ন র পর মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিচ্ছেদ কী বললেন আমির
বছর তিনেক আগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র বক্স অফিস ব্যর্থতার পর কার্যত লাপাত্তা হয়েছিলেন আমির খান। তবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নিজের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারে আবার সরব এই বলিউড তারকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সব সাক্ষাৎকারেই ঘুরেফিরে এসেছে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ। রিনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি। কিছুদিন আগেই গৌরি স্প্র্যাটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ সামানির পডকাস্টে হাজির হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। অকপটে স্বীকার করেছেন, রিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই হঠকারী।
আমির খান জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জীবনে সবচেয়ে বড় কোনো আফসোস আছে কি না, এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ও ছিল ১৯। আসলে আমি যেদিন আইনিভাবে বিয়ে করতে পারতাম, সেদিনই করেছি; ১৮ এপ্রিল। তবে এটা ভাববেন না, আমি বলছি রিনাকে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। আমি বলছি, সময়টা হয়তো সঠিক ছিল না। রিনার সঙ্গে আমার জীবনটা খুব ভালো কেটেছে। রিনা দারুণ একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে আমি মনে করি না এত ছোট বয়সে কারও এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা–ও আবার এমন তাড়াহুড়া করে।’ তখনই অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন আমির, আর তাঁদের বিয়ের বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন দুজন।
পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটা উদাহরণ। বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনাইদকে ওই বিয়ের মাধ্যমেই পেয়েছি। আমি ও রিনা ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’ আমির ও রিনার বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘আমি তখন সিনেমায় ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল রেড ফ্ল্যাগ। আমি একপ্রকার কাজের নেশায় বুঁদ ছিলাম,’ বলেন আমির।
আমির খান। এএফপি