কারাবন্দি সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত প্রবীণ এ রাজনীতিবিদকে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরিবারও। 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো.

মাসুদ হাসান বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের অনেক বয়স হয়েছে। তাই তিনি ডিমেনশিয়াসহ নানা রোগে ভুগছেন। নিয়মিত পরীক্ষার জন্য তাকে বুধবার সকালে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এটি নিয়মিত চেকআপের অংশ। 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ডিমেনশিয়াসহ নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখার পর ঢাকার পিজিতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। 

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য অবনতির কথা শোনা যাচ্ছিল। এতে তাঁর পরিবার একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করে। সুচিকিৎসা এবং জামিনের আবেদন জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ একাধিক দপ্তরে চিঠিও দেওয়া হয়। 

তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তিনি কিছুই মনে রাখতে পারেন না। দিনের পর দিন একাকিত্বের কারণে এই রোগ তাঁকে বেশ কাবু করে ফেলছে। তাই কিছুদিন আগেও এসকল শারীরিক জটিলতা বিবেচনায় রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে জামিন এবং সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছিল মোশাররফের পরিবার। 

পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭২ সালে তিনি সংবিধান প্রণেতাদের একজন ছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বিভিন্ন সময়ে সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ মন ত র র পর ব র ন র পর মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন